নিজেকে আইডল হিসেবে দেখতে চান বিপাশা কবির
নোয়াখালীর মেয়ে বিপাশা কবির। বড় হয়েছেন ঢাকায় নানা নানুর কাছে। নানা নানুর আদরের বিপাশা ছোট বেলা থেকে যার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার বড় হয়ে সে হয়ে গেলো সুপারস্টার। বলছি লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ও অভিনেত্রি বিপাশা কবিরের কথা। শখ করে লাক্স সুপারস্টারে অংশ নেয়ার পর মাথায় আসে অভিনেত্রি হবে। এরপর কাজ শুরু করতে গিয়ে বেশ কিছু নাটকেও কাজ করা হয়। কিন্তু নাটকে কেন জানি মন টানছিল না তার। ইচ্ছে জাগে বড় পর্দায় কাজ করবে। এসেছিলেন নায়িকা হবে বলে কিন্তু হয়ে গেলো ‘আইটেম গার্ল’। শুধু আইটেম গার্ল নয় অভিনেত্রি হিসেবেও নিজেকে এরইমধ্যে পরিচয় করিয়েছেন দর্শকদের সঙ্গে। সব কিছুর পর এখন ইচ্ছে শুধু একটাই অভিনেত্রি হিসেবে নিজেকে এমন ভাবে প্রতিষ্ঠিত করা; যাতে এক সময় নতুনদের মধ্যে নিজেকে আইডল হিসেবে দেখতে পান।
আর তার জীবনের এমন ইচ্ছে ও স্বপ্ন পরিবর্তনের অনেক কথা তুলে ধরবো পাঠকদের জন্য।
ইচ্ছে ছিলো
ইচ্ছে ছিল ডাক্তার হবো। যখন আমি এইচএসসি পাশ করার পর আমার নানা এবং আমার আব্বু আমাকে ভর্তি করানোর জন্য বাংলাদেশ মেডিকেলে নিয়ে যায়। কিন্তু আমি ব্লাড, কাঁটা ছেড়া এইসব দেখে খুব ভয় পেয়েছিলাম। এরপরও সিদ্ধান্ত নেই ভর্তি হবো। পরে ওইখানকার ডাক্তার জামান আমার নানার খুব পরিচিত ছিলো উনি আমাকে খুব করে বুঝালো যে, তুমি যদি এটা ক্যারি করতে না পারো তা হলে শুধু শুধু একটা বছর নষ্ট করো না। পরে আবার সিদ্ধান্ত বদলে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হলাম। আমি এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী।
অভিনয়ে কেন?
হটাৎ করেই শখ হয়। ২০০৯ সালে লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নেই। ওইখান থেকেই ইচ্ছে জাগে অভিনয়ের। অনেকে বলতো আমি নাকি অনেক ফটোজেনিক। কিন্তু শুধু ফটোজেনিক বলে যে ফটোশুট করবো, বিজ্ঞাপন করবো ঠিক তা না আমার ইচ্ছে ছিলো ভালো নাটক ভালো ফিল্মে কাজ করবো। যদিও নাটক কেন জানি- আমার ব্যাটে বলে মিলেনি তারপরও কিছু নাটকে কাজ করেছি। এরপর এসেছিলাম আসলে নায়িকা হবো কিন্তু হয়ে গেলাম ‘আইটেম গার্ল’ হাহাহাহা।
অভিনয়ের ব্যাপারে পরিবার
শুধু মায়ের একটু সাপোর্ট ছিলো। আসলে এতটুকু আসার পিছনে সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতায় নিজের চেষ্টায় এসেছি।
কোন দৃশ্য সবচেয়ে সহজ মনে হয়েছে?
আমার জন্য খুব সহজ হচ্ছে কান্না করা। আর খুব রাগী চরিত্রে অভিনয় করতে ভালো লাগে।
কান্না
আমার কান্না করতে খুবই ভালো লাগে। দিনে একবার কান্না না করলে আমার দিন যায় না। আমি খুব ইমোশনাল।হা, আমি চাইলেই কান্না করতে পারি।
আইটেম গার্ল কিভাবে হলেন?
আসলে গিয়েছিলাম নায়িকা হবো কিন্তু যাওয়ার পর গান দেখে গানের প্রেমে এরপর নায়িকা না হয়ে হলাম ‘আইটেম গার্ল’।
প্রথম অভিনীত ছবি গুন্ডামি, কেমন ছিলো এর অভিজ্ঞতা?
এটা আমার প্রথম ছবি। কিন্তু যে কষ্ট ও পরিশ্রম আমি করেছি এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারতো। আর ওই ছবির মার্কেটিং ও খুব একটা ভালো না হওয়ায় মানুষ খুব একটা জানতে পারেনি।
সবচেয়ে ভালো কাজ
এইতো মাত্র শেষ করলাম ‘খাশ জমিন’ চলচ্চিত্র। আমার অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে অসম্ভব সুন্দর একটি কাজ হয়েছে এটি। ছবিতে মানুষ আমাকে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে দেখবে। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আশা করছি দর্শকদেরও অনেক ভালো লাগবে।
আইটেম গার্ল থেকে অভিনেত্রি, পার্থক্য কী?
অনেক পার্থক্য। ওইখানে পাঁচ মিনিটের একটি গান থাকতো। শুধু ওই পাঁচ মিনিট আমার দর্শকদের ধরে রাখতে হত। কিন্তু একজন নায়িকা হিসেবে চরিত্র অনুযায়ী অভিনয় করা। ডায়লগ বলা অনেক কিছু মাথায় রাখতে হয়। দুইটার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
পছন্দ
খিচুরি।নীল রং অনেক পছন্দ।
প্রিয় মানুষ?
মা। এরপর মনের মানুষ।
পাগলা ভক্ত
হা, একজন আছে। একটি মেয়ে। পাগলের মতো ভক্ত। নাম সানজানা সানজু। আমি কখনো চিন্তা করতে পারি না একটা মেয়ে অন্য একটা মেয়ের এতোটা ভক্ত হতে পারে। ও আমাকে অনেক পছন্দ করে।
ভবিষ্যৎ ইচ্ছে?
শুধু অভিনয়।
দর্শকদের উদ্দেশে
সবাই চায় আমি ভালো কাজ করি আমিও চাই ভালো কাজ আপনাদের উপহার দিতে। আমি চাই আপনারা আমার আইটেম গান দেখে যেভাবে হাতে তালি দিতেন, একইভাবে আমার অভিনিত সিনেমাও আপনারা দেখবেন। আশা করি দেখার পর ওইভাবে হাতে তালি দিয়ে যাবেন। আর সবাই ভালো থাকবেন। আমার জন্য বেশি বেশি করে দোয়া করবেন।