কুবিতে অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে!

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা আবেদনকারী ও তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে চড়া দাম নিচ্ছে ক্যাম্পাস কেন্দ্রীক খাবারের দোকানগুলো। এরই সাথে কিছু অস্থায়ী দোকানীও চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার ও চায়ের দোকান সাজিয়ে বসেছেন যেগুলো স্বাস্থ্যহানীকর হলেও চড়া দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভর্তি পরীক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার প্রায় সবকটি খাবারের দোকানে অনুসন্ধান চালিয়ে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংশ্লিষ্ট আল-মদিনা, বিএফজি, মামা হোটেলসহ সবকটি খাবারের দোকানে হাঁকা হচ্ছে আকাশচুম্বি দাম। অন্যান্য সময় রান্না করা ডিম ২০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি করা হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। বরাবরের ৬০/৭০ টাকার গরুর মাংস ১১০/১২০ টাকা, ৪০ টাকার মাছ ৮০/৯০ টাকা, ৩০ টাকার মুরগী ৬০/৭০ টাকা, ৫ টাকার পরোটা ১০ টাকা, ৩০ টাকার তেহেরী ৬০/৭০/৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ যেন ‘ঝোঁপ বুঝে কোপ মারা’র অবস্থা।

এছাড়াও সরেজমিনে দোকানগুলোর খাবার প্রস্তুত করার স্থানসমূহ পরিদর্শন করে দেখা যায়, খাবার তেরী করা হচ্ছে খুবই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। পরিবেশন করার ক্ষেত্রেও নেই ন্যূনতম স্বাস্থ্য সচেতনতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের সামনের হোটেলগুলোও এ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই। দত্ত হল গেইটের সামনের নুরুন নবীর চায়ের দোকান। তিনি ৬ টাকার এক কাপ চা এখন বিক্রি করছেন ১০ টাকায়।

Post MIddle

ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা খাবারের চড়া দামের বিড়ম্বনার কথা জানান। কুমিল্লা গভ. উইমেন্স কলেজ থেকে পরীক্ষা দিতে আসা চৈতী জাহান বলেন, ‘এর আগে দেশের আরও বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়েছি। কিন্তু কোথাও খাবারের এত বেশি দাম দেখিনি।’ এছাড়াও চড়া দামের থাবা থেকে বাদ যাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত বর্তমান শিক্ষার্থীরাও।

জানতে চাওয়া হলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুপালী মন্ডল বলেন,‘আমি বিষয়টি এখন জানলাম। এর সত্যতা পাওয়া গেলে উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ ও ৩ ডিসেম্বর ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।##

পছন্দের আরো পোস্ট