শিশুদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী ‘মজার ইস্কুল’

untitled%e0%a7%afহাবিপ্রবির কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ব্যতিক্রমধর্মী একটি স্কুল,  নাম “মজার ইস্কুল’। স্কুলটির নাম যেমন ব্যতিক্রম, তেমনি এর কার্যক্রমও সাধারন স্কুল থেকে ভিন্ন।  সাধারন স্কুলে শিক্ষার্থীরা যেখানে মানসিক চাপে পড়ালেখা করে, সেখানে মজার স্কুলের শিক্ষার্থীরা পড়ে আনন্দের সাথে। বই থেকে শুরু করে শিক্ষার প্রত্যেকটি উপকরণ এমনকি বিকেলের নাস্তাও সরবরাহ করা হয় স্কুল থেকেই।

কথা হয়েছিল এই স্কুলের একজন ছাত্র নাঈম ইসলামের সাথে। বাবা নেই, মা  কাজ করে অন্যের বাসায়। যেখানে তিন বেলা খাবার জোটেনা সেখানে পড়ালেখার স্বপ্ন নিতান্তই দুঃস্বপ্ন। মজার স্কুল প্রতিষ্ঠার আগে পথে পথে কাগজ কুড়ানোই ছিল নাঈমের দৈনন্দিন কাজ। কিন্তু, এ স্কুল প্রতিষ্ঠার পর, নাঈম ‘মজার ইস্কুলে’র একজন নিয়মিত ছাত্র। অবৈতনিক এবং শিক্ষার উপকরণ কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করায় স্বাচ্ছন্দ্যে চলছে নাঈমের পড়ালেখা।

Post MIddle

untitled%e0%a7%a9%e0%a7%87“নিরক্ষর মুক্ত দেশ গড়া, মজ়ার ছলে শিখাব মোরা।” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ২০১৫ সালের ৯ই নভেম্বর এগ্রি-বিজনেস ডিপার্টমেন্টের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় মজার স্কুলের। বর্তমানে ১৩০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। বিকেল ৪.৩০ থেকে শুরু হয় এই স্কুলের কার্যক্রম। ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট ধরে এই বাচ্চাদের পাঠদান করে থাকে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। ৬৫ জনের একটি দল নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে এই ‘মজার ইস্কুলে’র জন্য।

শিক্ষা প্রতিটা মানুষের একটি মৌলিক অধিকার।  সমাজ, দেশ, জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই শুরু করা এই ‘মজার ইস্কুল’। স্কুলের পরিচালকমন্ডলীর চোখে স্বপ্ন একটাই, নিরক্ষরতার অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকবে না আর একটি শিশুও।

পছন্দের আরো পোস্ট