নদীর ভাঙনে বিলীন স্কুলের ক্লাস চলছে বাঁশ তলায়
ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙনে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে রৌমারী উপজেলার খেদাইমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন। নতুন জায়গায় স্কুল চালু করা হলেও শ্রেণিকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের বাঁশ ঝাড়ের নিচে পাঠদান দেয়া হচ্ছে। গত সাত মাস যাবত্ রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খেদাইমারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৯৩ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টিতে লেখাপড়ার মানও ভালো। কিন্তু নদী ভাঙনের কারণে বাগুয়ার চরে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বাঁশ ও টিন দিয়ে একচালা করে ঘর তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে ওই স্কুলে শিক্ষার্থী সংখ্যা সাড়ে ৩৫০ জন ও শিক্ষক পাঁচজন। একচালা ঘরগুলোতে গাদাগাদি করে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করানো হচ্ছে। আর বাঁশ ঝাড়ের নিচে পাঠদান করানো হচ্ছে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের।
প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এপ্রিল মাসে বিদ্যালয়টির চার কক্ষবিশিষ্ট একটি পাকা এবং তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি টিনসেট ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ওই সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, প্রকৌশলী ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিদর্শন করে বিদ্যালয়টি বাগুয়ার চরে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। কিন্তু শ্রেণিকক্ষের সংকটে দুই শিফটে একচালা ঘরে পাঠদান করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও শ্রেণিকক্ষের অভাবে বাধ্য হয়ে বাঁশ ঝাড়ের নিচে পাঠদান করাচ্ছি।
রৌমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, খেদাইমারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন সংকটের কথা জানি। অর্থ বরাদ্দ এলে ভবন নির্মাণ করা হবে।