ইবির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

unnamed-7‘নিজেকে একজন শিক্ষার্থী বান্ধব উপাচার্য হিসাবে উপস্থাপিত করব। জেনে অথবা না জেনে কোন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেব না। শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত করায় আমাদের লক্ষ্য। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রাশিদ আসকারী এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন-‘আমাদের হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থাকা জরুরী। বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বার যে অভিযাত্রা ছিল। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও সে অভিযাত্রার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে চাই।’

দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রাশিদ আসকারী। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান। এছাড়া সবগুলো আবাসিক হলে জাতীয় পতাকা ও হল পতাকা উত্তোলন করেন প্রভোস্টরা।

Post MIddle

সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবন চত্ত্বরে শান্তি ও আনন্দের প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আনন্দ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ভিসি। এতে সকল বিভাগ, হল, অফিস, ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

শোভাযাত্রা শেষে বাংলা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান এবং আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আরমিন খাতুনের সঞ্চালনায় প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রাশিদ আসকারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস. এম. আব্দুল লতিফ। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন , বিভাগীয় সভাপতি, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এদিকে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তরে ফুল দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেন শিক্ষক সংগঠন জিয়া পরিষদ। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মো. সেলিমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট