ঢাবিতে অন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শুরু

unnamed-3ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে টিএসসি মিলনায়তনে শুরু হলো ‘অন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা- ২০১৬’। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্টিশীলতার বিকাশ, অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্মেষ, এবং চিন্তাশীল মনন গঠন এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায় থেকে মোট ৭২৮ জন প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন।আয়োজনটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র- টিএসসি’ এবং ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ- ডিইউসিএস’। সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি’ ও ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশন’।

সকাল ১০টায় টিএসসি মিলনায়তনে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) প্রফেসর ড. মোঃ আখতারুজ্জামান এবং অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক এ কে এম মহিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ এর মডারেটর সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি এর মডারেটর ড. মাহবুবা নাসরিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশন এর মডারেটর ড. ফাদার তপন কামিলুস ডি রোজারিও।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ড. মোঃ আখতারুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক দুর্ঘটনার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই বিষয়গুলো কখনোই ঘটতো না যদি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডগুলো আরো সক্রিয় থাকতো। তাই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের উপর গুরুত্ব আরোপ করা জরুরি।লম্বা বিরতির পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবারও এতো বড় পরিসরে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা সফলভাবে আয়োজন করতে পারায় ডিইউসিএস এর ভূয়ষী প্রশংসা করেন টিএসসির পরিচালক। তিনি আরও বলেন, স্থবির হয়ে যাওয়া সাংস্কৃতিক চর্চাকে পুনরায় প্রাণবন্ত করতে হবে এবং তরুনদের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।

unnamed-2ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ এর মডারেটর অধ্যাপক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী বলেন, যে মানুষ শুদ্ধ সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্যে থাকে তার পক্ষে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ বা মাদকাসক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ার সম্ভাবনা থাকেনা। তিনি বিশ্বাস করেন যে এই সব প্রতিযোগীতার মাধ্যমে মানুষকে বিপথে যাওয়া থেকে রোধ করা যাবে।

ড. মাহবুবা নাসরিন বলেন, কালের পরিবর্তনে পড়ার চাপ এতো বেড়ে গিয়েছে যে স্কুল কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় আর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার আয়োজন করে না। তাই তিনি মনে করেন সবাইকে কাছে নিয়ে আসার এই যে আয়োজন তা শিক্ষার্থীদের আরো উৎসাহিত করবে।  ড. ফাদার তপন কামিলুস ডি রোজারিও মতে, প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর রয়েছে সুপ্ত প্রতিভা। জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশে সবকিছু থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

আগামীকাল প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ও শেষদিনেও বাছাই পর্ব চলবে এবং সন্ধ্যা ৬ টায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ।

প্রতিযোগীরা যে সকল বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন সেগুলো হলো-

– সঙ্গীত (উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, রবীন্দ্রসঙ্গীত, দেশাত্ববোধক গান, আধুনিক গান, ভক্তিমূলক গান ও লোকসঙ্গীত)

– যন্ত্রসঙ্গীত (তবলা, বাঁশি)

Post MIddle

– নৃত্য (উচ্চাঙ্গ নৃত্য, সাধারণ নৃত্য, লোকনৃত্য)

– অভিনয় (তাৎক্ষণিক অভিনয়, স্ব-নির্ধারিত অভিনয় ও মূকাভিনয়)

– আবৃত্তি (নির্ধারিত আবৃত্তি ও স্ব-নির্ধারিত আবৃত্তি)

– অবিরাম গল্প বলা

– বিতর্ক (বাংলা ও ইংরেজি)

– উপস্থিত বক্তৃতা (বাংলা এবং ইংরেজি)

প্রতিযোগিতার প্রথমদিনে যন্ত্রসঙ্গীত (তবলা ও বাঁশি), নৃত্য, বিতর্ক, সঙ্গীত (উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ও নজরুলসঙ্গীত), অভিনয়(তাৎক্ষণিক ও নির্ধারিত),মকাভিনয়, উপস্থিত বক্তৃতা (বাংলা) এর উপর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠান সম্পর্কিত যেকোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ  রায়েদ ওমর – ০১৭১১২৮২৮২৯

????????????????????????????????????

পছন্দের আরো পোস্ট