বাহরাইনে বাংলাদেশী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুন:প্রতিষ্ঠা

বাংলাদেশ স্কুল এণ্ড কলেজের জন্য বাহরাইন সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত ভূমিতে প্রায় ১১ বছর পর ভবন নির্মাণসহ পুনর্প্রতিষ্ঠার সময় আর বেশি দূরে নয়। কেটে যাচ্ছে সকল বাধা। আর শিগগিরই পরিবর্তন আসছে বাংলাদেশি এ প্রতিষ্ঠানটিতে। নিজস্ব ভূমিতেই নির্মিত হবে স্কুল ভবন। এতে ফিরে পাচ্ছে বাহরাইনে বসবাসরত বাংলাদেশিরা তাদের সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ।

 প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নের পথে বড় বাধা ছিল নিজ নামে লাইসেন্স না থাকা। যার ফলে চরম হুমকির মুখে পড়ে শিক্ষা ব্যবস্থা। জরাজীর্ণ হয়ে পড়েন প্রতিষ্ঠানটি। এমতাবস্থায় বর্তমানে বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল কে এম মমিনুর রহমানের বিরামহীন প্রচেষ্টায় গত ১৪ অক্টোবর ঐক্য, উন্নয়ন ও শিশুদের ভবিষ্যৎ নির্মাণের ডাকে সাড়া দেন কমিউনিটির নেতৃবৃন্দসহ সকল বাংলাদেশিরা।

Post MIddle

পরে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল কে এম মমিনুর রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যমতের ভিত্তিতে আল আহলি ইউনাইটেড ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাফকাত আনোয়ারকে সভাপতি করে ৯ সদস্যের একটি বোর্ড অব ডিরেক্টর (পরিচালনা পর্ষদ) ঘোষণা করেন।ওই বোর্ডে রয়েছেন স্কুলের প্রধান সমন্বয়ক প্রকৌশলী নুরুন্নবী চৌধূরী, ইউনিভার্সিটি অব বাহরাইনের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ ওমর ফারুক, প্রকৌশলী জয়নুল আবেদীন, বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ সমাজের সভাপতি ফজলুল করিম বাবলু, সোসাইটির সভাপতি ফুয়াদ তাহের শান্তনু, বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, স্কুলের পেট্রন মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী ও লাইসেন্স আবেদনকারী ও বিশিষ্ট্য ব্যাবসায়ী আইনুল হক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মেহেদী হাসান, লেবার কাউন্সিলর মহিদুল ইসলাম সহ স্কুল কমিটি, অভিভাবক ও সকল পেশার ব্যক্তিবর্গ।

 বাংলাদেশ স্কুল আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে ১৯৯৬ সালে, স্থান সংকুলানে প্রকৌশলী নুরুন্নবী চৌধূরীর সমন্বয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৫ সালে স্থানীয় আ-লীতে ১৪৩ শতক জমি দান করেন বাহরাইন সরকার। স্কুল ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকার পরেও নানা বিতর্ক ও লাইসেন্স সংক্রান্ত জটিলতায় বাধাগ্রস্ত হয় সকল কার্যক্রম। বর্তমান প্রক্রিয়ায় সকল বাধা অতিক্রম করে দ্রুত এগোচ্ছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। আর তা সম্ভব হচ্ছে দূতাবাসের হস্তক্ষেপে।##

পছন্দের আরো পোস্ট