বশেমুরবিপ্রবি’র ফার্মেসি বিভাগ

GOPALGONJযুগের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ক্রমান্বয়েই উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ধাবিত হচ্ছে অাসন সংখ্যায় দেশের পঞ্চম বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যতম ফার্মেসি বিভাগও।

২০১৩ সালে সর্বপ্রথম ফার্মেসী বিভাগ খোলা হয় দুইজন শিক্ষক (আলী স্যার ও আষীস কুমার স্যার )- এর উপস্থিতিতে। তারপর চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন ড. আব্দুর রহিম। তার এক বছর পর লেকচারার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন শফিক ও কিছুদিন পর নিয়োগ হয় শামস আরা। এর কিছুদিন আগে ডক্টরেট করতে চলে যান আষীস কুমার।

শুরুতে বিভাগটিতে কোন ল্যাব সুবিধা না থাকলেও কিছুদিন পরেই ইন অরগানিক ল্যাব করা হয়। তারপর দুই বছর ব্যবধানে দুইটা ল্যাব হয়। তার মধ্যে একটা মাইক্রোবাইয়োলজি। তারপর আব্দুর রহিম চলে যান কেমিকৌশলে। চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন আলী।

বিভাগটিতে এখন ৩ জন সহকারী প্রফেসর আছেন, বাকিরা প্রভাষক। এবং অন্য বিভাগের প্রফেসররাও ক্লাস নেন। বর্তমানে সবগুলি ল্যাব নিয়ে ফার্মেসী বিভাগ চলছে।

অতএব, মাত্র তিন বছর অাগে বশেমুরবিপ্রবিতে ফার্মসি বিভাগ যাত্রা অারম্ভ করলেও দারিদ্র ও বেকারত্ব মুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ভিশন-২০২১- কে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়টির শ্রদ্ধেয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন ও একঝাঁক মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষকের নিরলস চেষ্টা ও নিষ্ঠার সমন্বয়ে উত্তরোত্তর উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে ফার্মেসি বিভাগ। অর্থাৎ, বশেমুরবিপ্রবি’র ফার্মেসি বিভাগ অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ে কোনো অংশে অনুন্নত নয় যা নির্দ্বিধাতেই বলতে পারা যায়। উল্লেখ্য যে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ডিসেম্বরেই ফার্মেসি বিভাগের ফার্স্ট ব্যাচ বের হবে।

এখন এক নজরে জেনে নেওয়া যাক কি পড়ানো হয় ফার্মেসীতে?
ফার্মেসীতে যা পড়ানো হয় তার মধ্যে রয়েছে

*রসায়ন (inorganic/organic/physical/Analytical/
Medicinalchemistry),
*মানবদেহ (Physiology/Anatomy),
*ওষুধবিদ্যা (Pharmacognosy/Pharmacology /
Pharmaceutical technology / Quality control /
Pharmaceutical Engg /
Biopharmaceutics),
লাইফ সাইন্স এর অন্যান্য বিষয় (Microbiology / Biochemistry / Biotechnology) ও Hospital
pharmacy / Clinical pharmacy, Statistics সহ আরও কিছু বিষয়। এত বিষয় দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে এসব বিষয় পড়তে হলে জীববিজ্ঞান (মানবদেহ) ও রসায়নে নিঃস্বন্দেহেই ভালো হতে হবে।

Post MIddle

সবাই যেটা জানতে চাই, আসলে চাকরীর অবস্থা কি ?

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করে খুব একটা কেউ বেকার থাকে না। অনেকেই শিক্ষকতা পেশাকে বেছে নেয়। মোটামুটি ভালো রেজাল্ট নিয়ে পাস করে বের হতে পারলে শিক্ষকতায় প্রবেশ করা ব্যাপার না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে উল্লেখযোগ্য
সংখ্যক ছাত্রছাত্রী ফার্মা ফিল্ডে কাজকরছে।

দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কেমন?

একসময় প্রচুর ফার্মাসিস্ট বাইরে যেতেন। ২০০৩ সালের পর আমেরিকায় ৪ বছরের অনার্স ডিগ্রীধারীদের ফার্মাসিস্ট নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে দিচ্ছে না।অর্থাৎ কেউ যদি আমেরিকায় ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করতে চান তার ৫ বছরের অনার্স লাগবে বা ফার্ম ডি লাগবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০১০-১১ সেশন থেকে ৫ বছরের অনার্স চালু হয়েছে। এখানে একটা ব্যাপার ক্লিয়ার করা উচিত। আমাদের দেশে বেশিরভাগ ফার্মাসিস্ট যেমন ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করেন তেমনি বাইরের দেশে বেশিরভাগ ফার্মাসিস্ট কমিউনিটি, রিটেইল, ক্লিনিক বা হসপিটাল ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করেন আর তার জন্য লাইসেন্সধারী ফার্মাসিস্ট হতে হয়। আর ৪ বছরের অনার্স নিয়ে আমেরিকা ছাড়া অন্য যে কোন দেশে গিয়ে নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করে ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

তবে আপনি পিএইচডি করতে চাইলে আমেরিকা যেতে পারেন। বাংলাদেশ এর বর্তমানে ৯৭% মেডিসিন নিজেরাই পূরন করতেছে। প্রচুর মেডিসিন কোম্পানি, হাসপাতাল ক্লিনিক সহ বিভিন্ন মানব বিষয় গবেষনা প্রতিষ্ঠান।

ডাক্তার ও ফার্মাসিস্ট এর পার্থক্য হলো
একজন ডাক্তার মূলত রোগী এর রোগ নির্ণয় করেন এবং সেই অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন দেন কোন গ্রুপের মেডিসিন কিভাবে খাওয়া উচিৎ।আমাদের দেশের ডাক্তাররা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে মেডিসিনে নামও লিখে দেন রোগীকে। এজন্যই দেখা যায় সঠিক মেডিসিন দিতে অনেক সময়ই ভুল হয়।

কিন্তু এই মেডিসিন প্রেস্ক্রাইব করা উচিৎ মূলত ফার্মাসিস্টের। কারণ, একজন ফার্মাসিস্টই জানে কোন রোগে কোন গ্রুপের মেডিসিন কোন মেডিসিন কিভাবে দিলে রোগ সারবে।এজন্যই মূলত ফার্মাসিস্টকে অনেকটা ডাক্তারের সাথে তুলনা করা যায়।বিদেশে ফার্মাসিস্ট এর প্রচুর ডিমান্ড। উচ্চ স্যালারিতে জব পাওয়া যায়।তাই ফার্মেসি সবার ফার্স্ট চয়েজ ই থাকে। ফার্মেসী পেলে কেউ অন্য দিকে তাকায়-ই না। অার জব নিয়েও চিন্তা করতে হয়না।

পছন্দের আরো পোস্ট