ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় সমাবর্তন

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা সমুন্নত রেখে এগিয়ে যেতে তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে বক্তৃতাকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস জানতে হবে। বাঙালির শিকড় কোথায়- এটা তোমাদের জানতে হবে। আমার বিশ্বাস- তরুণ প্রজন্ম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা সমুন্নত রেখে সামনে এগিয়ে যাবে।’

মোট ১৪৮৬ শিক্ষার্থী সমাবর্তনে ডিগ্রি পান। এর মধ্যে ৪৩ জন চ্যান্সেলর, ভাইস-চ্যান্সেলর ও ডিন অ্যাওয়ার্ড পান।

Post MIddle

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিপদগামী কিছু ছাত্র ও শিক্ষকের জঙ্গী তৎপরতায় জড়িত হওয়ার খবর কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাই ক্ষুণ্ন করছে না, পুরো জাতির মর্যাদাও ক্ষুণ্ন করছে। তিনি বলেন, ‘যারা মেধাবী ছাত্রদের জঙ্গী ও সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত হতে উস্কানি দিচ্ছে তাদেরকে অবশ্যই শনাক্ত করা হবে এবং পুরোপুরি মূলোৎপাটন করা হবে।’ রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ে কঠোর শৃংখলা বজায় রাখা, নিয়মিত পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ এবং খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার পরামর্শ দেন।

ডিগ্রিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তোমরা এখন গ্র্যাজুয়েট, দেশের মূল্যবান মানবসম্পদ। এজন্য তোমাদের পরিবার, সমাজ, দেশ, জাতি এবং বিশ্ব সমাজের প্রতি তোমাদের দায়-দায়িত্ব আরো বেড়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘তাই তাদের প্রতি তোমাদের কিছু দায়-দায়িত্ব রয়েছে। তাদের কাছে তোমরা ঋণী। তোমরা যদি তোমাদের মেধা ও জ্ঞান দিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করো, তাতে কিছুটা হলেও তোমাদের কিছু ঋণ পরিশোধ হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান এবং মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিনও বক্তৃতা করেন। সমাবর্তন বক্তৃতা দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরিটাস ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিন। এর আগে রাষ্ট্রপতি মওলানা ভাসানীর মাজারে যান এবং ফাতেহা পাঠ করেন।(বাসস)।

পছন্দের আরো পোস্ট