চুয়েটে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রলালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মো: সোহরাব হোসাইন বলেছেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। সরকার সর্বশক্তি দিয়ে সর্বাত্মভাবে উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। উন্নত দেশ গড়ার চলমান প্রচেষ্টায় সবাই যে যার অবস্থান থেকে অবদান রাখুন। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে যাননি ,তারা এখন আফসোস করেন কেন তারা যেতে পারেননি। উন্নত দেশ গড়ার অগ্রযাত্রায় যাতে কাউকে শামিল হতে না পেরে, অবদান রাখতে না পেরে আফসোস করতে না হয়। এজন্য প্রয়োজন দেশপ্রেম, বড় স্বপ্ন দেখার সাহস। আমরা এমন মানুষ চাই, যারা দুর্নীতিকে ঘৃনা করবেন। একই সঙ্গে তারা যেন উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে দেযার কাজ করবেন।
তিনি রবিবার (১৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ আর্থিকভাবে অসচ্ছল এবং মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চুয়েট প্রাক্তন ছাত্র সমিতি, চুয়েট এলামনাই এসোসিয়েশন কানাডা এবং অত্র প্রতিষ্ঠানের ১ম ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র প্রকৌশলী মাহমুদুজ্জামান খান কর্তৃক এ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়েটের কেন্দ্রিয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়েটের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আশুতোষ সাহা, রেজিস্ট্রার (অতি: দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী , ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক এবং চুয়েটের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সভাপতি, ইনস্টি্িটউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রাক্তন প্রধান প্রকৌশলী জনাব কবির আহমদ ভূঞাঁ, চুয়েট প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিটিসিএল-এর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী খান আতাউর রহমান সান্টু এবং এ প্রতিষ্ঠানের ১ম ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র প্রকৌশলী মাহমুদুজ্জামান খান।
আরো বক্তব্য রাখেন চুয়েট প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক, উক্ত সমিতির সহযোগী প্রতিষ্ঠান চুয়েট চিকিৎসা সহায়তা তহবিলের সভাপতি, পিডিবি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: জসিম উদ্দীন। বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন পুরকৌশল বিভাগের ছাত্রী নাফিসা মালিয়াত, যন্ত্রকৌশল বিভাগের ছাত্র মো: তানসিরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়েটের উপ-ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. জি. এম. সাদিকুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মো: নুরুজ্জামান ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক জনাব ফারজানা ইয়াছমিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো: সোহরাব হোসাইন আরো বলেন, চুয়েট সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবিশে অবস্থিত। এটিকে আমরা বিশ্বমানের হিসেবে গড়তে পারি। এ ব্যাপারে আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে এখন কোন সন্দেহ নাই। এটা এখন কথার কথা নয়, বাস্তবতা। আমরা এখন নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ার পথে যেতে সচেষ্ট। পদ্মা সেতুর মত মেগা প্রকল্প এখন আমরা নিজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করতে পারি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুটি টার্গেট দিয়েছেন ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়া আর ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ। বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা উক্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছি। উন্নত দেশ পরিচালনা আর একটি দরিদ্র দেশ পরিচালনা এক কথা নয়। নবীনদের হাতে আগামী দিনের নেতৃত্ব। আমি আশাবাদী, নবীনদের হাতে আগামীর উন্নত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
সভাপতির বক্তব্যে চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, চুয়েটের চলমান অগ্রযাত্রায় এই প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পর্যায়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চুয়েটের ভাবমূর্তিকে প্রতিনিয়ত অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মমত্ববোধ ও সার্বিক সহযোগিতা পেয়ে চুয়েট পরিবার ধন্য ও কৃতজ্ঞ।##