ছাতিম ফুল
নাক ফুল আকারের চার পাপড়ির
শাদা ফুলে সমস্ত গাছ সেজে থাকে।
বাতাসে ঘ্রাণ মিশে
ভারি হয় রাত্রি দ্বিপ্রহর,
শিরায় উপশিরায় শীতল প্রবাহ
সমস্ত দেহ হীম করে দেয়।
সারা দিনমান বাতাসে ঢেউ খেলে
ছাতিম ফুলের মাদক ঘ্রাণ,
রাত্রে বাড়ে দ্বিগুণ;
তিনগুণ ;
চতুর্গুণ বা টেন টু দি পাওয়ার সামথিং।
আমি কেনো জানি-
ঐ মাদক ঘ্রাণে থমকে দাড়াই
ভালো লাগে অনেকক্ষণ
বুদ হয়ে রই;
তারপর মাথা ঝিম ধরে।
একসময় নিউরণের প্রচণ্ড বিক্ষোভে-
আমি হার মানি।
শীতকে স্বাগত জানিয়ে ফোটে
ছাতিম ফুল,
ফুলের মাদক ঘ্রাণের সাথে
শীত মেশে-
নাসারন্ধ্র দিয়ে মস্তিষ্ক
তারপর শিরা উপশিরা বেয়ে
সমস্ত শরীর।
যেখানে নিঃশ্বাস নিই-
আমার সারা দিনমানের সবখানে;
সমস্ত বাতাস ভারি হয়ে থাকে ফুলের ঘ্রাণে।
অামি বুদ হয়ে পড়ে রই
নেশা করি নিঃশ্বাসে,
প্রকৃতি আমাকে ছাতিম ফুলের নেশা করায়।
রায়হান মুশফিক, সরকারি বি এল কলেজ, খুলনা।