ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন ইবি ভিসি
অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী। তাকে বহনকারী গাড়ীর চাকার বোল্ট খুলে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে বিষয়টি টের পেয়ে যায় চালক। সাথে সাথে গাড়ি থামিয়ে দেয় চালক। বৃহস্পতিবার এভাবেই ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনার ঘটার আগে রক্ষা পেলেন সদ্য নিযুক্ত ভিসি। এদিকে রহস্যজনক ভাবে ভিসির ব্যবহৃত গাড়ির চাকার বোল্ট উধাও হওয়ার ঘটনায় তদন্ত দাবি করে এঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
গাড়ির চালক আসাদ মিয়া জানান, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ভিসিকে বহনকারী গাড়ি (ঢাকা ঘ-১১০৩৮) কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ার লালন উৎসবের উদ্দেশ্যে রওনা করে। উৎসবে ভিসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। গাড়িটি কুষ্টিয়ার বিসিক শিল্প এলাকায় পৌছলে চাকার মধ্যে ঝাকুনি দিয়ে উঠে। এসময় গাড়ি নিয়ন্ত্রন করে রাস্তার পাশে পার্কিং করা হয়। চালক আরো জানান- গাড়ির পেছনের বাম পাশের চাকার ৬টি বোল্টের পাঁচটি বোল্ট পাওয়া যায়নি। একটি মাত্র বোল্টে কোন রকমে চাকাটি আটকে ছিল। এভাবে আর কয়েক মিনিট চললে ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটতো বলে আশংকা প্রকাশ করেন চালক আসাদ মিয়া। চলন্ত অবস্থায় চাকার বোল্ট খুলে পড়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আগে থেকেই বোল্ট খুলে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করেন গাড়ির চালক।
এদিকে ভিসির গাড়ির চাকার বোল্ট উধাও হওয়ার পেছনে কোন ষড়যন্ত্র বা রহস্য থাকতে পারে বলে দাবি করে সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শাপলা ফোরাম, জিয়া পরিষদ ও গ্রীন ফোরাম, ছাত্রলীগসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এদিকে ভিসির সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার ও নিশ্চিত করার পাশাপাশি এঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অলী উল্ল্যাহ স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে এঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দাবি করা হয়েছে।
ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন-‘এঘটনাকে কোন ভাবেই সাভাবিক ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করছিনা। আমার মনে হয় বড় ধরণের ষড়যন্ত্রের এটি একটি আলামত। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আজ যেকোন ধরনের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি। তবে এঘটনার নেপথ্যে যে বা যারাই থাকুক না কেন তা খতিয়ে দেখা হবে।’