সংস্কার হচ্ছে না জাবির জিমনেসিয়াম

প্রশাসনের নজরদারী অভাবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে তেমন কোন সংষ্কার কাজ করা হয়নি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) জিমনেসিয়ামের। তাই ইতোমধ্যে নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে জিমনেসিয়ামটি। সংষ্কারের লক্ষ্যে বেশ কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও তেমন কোন আশানুরুপ ফল পাওয়া যায়নি বলে জিমনেসিয়ামের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অভিযোগ।

জিমসিয়ামের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, জিমনেসিয়ামটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তেমন কোন সংষ্কার কাজ করা হয়নি। যার কারণে ছাঁদ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে, মেঝের কিছু অংশ দেবে গেছে, ছাঁদের ফুঁটো দিয়ে পানি পড়ে মেঝে ভিঁজে একাকার হয়ে যায়। এমনকি ছাঁদ ভেঁঙ্গে পড়া আতঙ্ক বিরাজ করে তাদের মাঝে।

এছাড়াও তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ক্রয় না করায় জিমনেসিয়ামে দুটি ওয়েট ট্রেনিং ফিটনেস সেন্টারের মধ্যে একটি বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যটিতে রয়েছে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের কিছু সরঞ্জামাদি। যা দিয়ে কাজ চালানো অসম্ভব।

Post MIddle

ওয়েট ট্রেনিং ফিটনেস সেন্টারের তত্ত্বাবধায়ক এস এম সাদাত হোসেন জানান, পেশিশক্তি বৃদ্ধি জন্য যে সব সরঞ্জামাদি প্রয়োজন যেমন সাইকেলিং মেশিং, টেডমিল, মাল্টিজিম, ডাম্বেল, বারবেল, ওয়েট যন্ত্র ইত্যাদি সরঞ্জামাদি না থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজন মত শরীর চর্চা করতে পারেনা। এখানে যে সব সরঞ্জামাদি আছে তা পর্যাপ্ত নয়, তাই আগে মত শিক্ষার্থীরা এখন আর আসে না।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, সংষ্কার ও তদারকির অভাবে দিন দিন জিমনেসিয়ামটির অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে। আধুনিক কোন সরঞ্জামাদি নেই এখানে। যার কারণে বাধ্য হয়ে অন্য জায়গায় জিম করতে যেতে হয়। যা আমাদের জন্য ব্যয়বহুল।

শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক দেবব্রত পাল বলেন, জিমনেসিয়ামের এ অবস্থার দিকে দ্রুত প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত। তা নাহলে যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবহিত হয়েছি। এ বিষয়ে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ##

পছন্দের আরো পোস্ট