খুবিতে ১৯ টি ভবনের নতুন নামকরণ

khulna U Logoখুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নব নির্মিত নতুন ছাত্রী হলসহ বিদ্যমান, নির্মীয়মান ও নির্মিতব্য ভবনসমূহের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। রবিবার (৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। গত ২২ অক্টোবর ২০১৬ খ্রি. তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৮৮তম সভায় এসব নামকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

নাম গুলো যথাক্রমে: নতুন ছাত্রী হল- বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, ১নং একাডেমিক ভবন- ড. সত্যেন্দ্র নাথ বসু একাডেমিক ভবন, ২নং একাডেমিক ভবন- আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন, ৩নং একাডেমিক ভবন- কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবন, ১০ তলা একাডেমিক ভবন (নির্মিতব্য)- জয় বাংলা ভবন, নতুন প্রশাসন ভবন- শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবন, পুরাতন প্রশাসন ভবন- শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন, অডিটেরিয়াম/টিএসসি (নির্মিতব্য)- লালন সাঁই মিলনায়তন, অতিথি ভবন- মাইকেল মধুসূদন দত্ত অতিথি ভবন, লাইব্রেরি ভবন- কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, আইইআর (নির্মিতব্য) ভবন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আইইআর ভবন, মেডিকেল সেন্টার- শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরী চিকিৎসা কেন্দ্র, জিমনেসিয়াম (নির্মিতব্য)- সুলতানা কামাল জিমনেসিয়াম, সেন্ট্রাল সায়েন্স ল্যাব- আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগার, ১০তলা আবাসিক ভবন (নির্মিতব্য)- শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী ভবন, প্রফেসর/সমপর্যায়ভুক্ত কর্মকর্তা কোয়ার্টার- শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. জোতির্ময় গুহঠাকুরতা ভবন, সহযোগী অধ্যাপক/সমপর্যায়ভুক্ত কর্মকর্তা কোয়ার্টার- শহীদ বুদ্ধিজীবী সুখরঞ্জন সমাদ্দার ভবন, সহকারী অধ্যাপক কোয়ার্টার- শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ভবন, লেকচারার/সমপর্যায়ভুক্ত কর্মকর্তা কোয়ার্টার- শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. রাশেদুল হাসান ভবন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের চারটি আবাসিক হলের কেবলমাত্র নাম রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ভবনগুলোর নামকরণ ছিলো না।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার তথা একাত্তরের বধ্যভূমির উপর গড়ে ওঠা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় রজতজয়ন্তী পার করেছে। এই দীর্ঘ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভবন ও স্থাপনা নির্মিত হয়েছে। এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নামকরণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই নামকরণের ক্ষেত্রে যে সমস্ত বাঙ্গালী কৃতি সন্তান বাংলা ভাষা,সাহিত্য-সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, গবেষণা, চিকিৎসা, ক্রীড়ায় বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে যাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ভূমিকা ও আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ এর অভ্যুদয় ঘটেছে সেইসব ব্যক্তিদের অবিস্মরণীয় অবদান অনাগতকালধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অবিস্মৃত রাখতে এই স্মারক নামকরণ করা হয়েছে। এই নামকরণের ফলে একাত্তরের বধ্যভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ প্রবেশ করলে মনে হবে এটা একখ- বাংলাদেশ যা আমাদের আবহমান সব ঐতিহ্যই ধারণ করে আছে। ##

পছন্দের আরো পোস্ট