এম আর খানের মৃত্যুতে ঢাবি উপাচার্যর শোক

DU LOGO

Post MIddle

জাতীয় অধ্যাপক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম আর খান (৮৮) এর মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

এক শোকবাণীতে আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ডা. এম আর খান জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের শিশুচিকিৎসার অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর উদ্যোগে জাতীয়ক্ষেত্রে যেমন শিশু স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন গড়ে উঠেছে তেমনি দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন নানা প্রতিষ্ঠান। ধূমপান বিরোধী আন্দোলন এবং দেশ থেকে পোলিও নির্মূলে তার উদ্যোগী ভূমিকা রয়েছে। প্রকৃত দেশপ্রেমিক হিসেবে সামাজিকভাবে এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান জাতি স্মরণ রাখবে।

উপাচার্য মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য ডা. এম আর খান আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এম আর খান বার্ধক্যজনিত নানা জটিল রোগে কয়েক মাস ধরে ভুগছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বৎসর। ১৯২৮ সালের ১ আগস্ট সাতক্ষীরার রসুলপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিটিএমঅ্যান্ডএইচ, এমআরসিপি, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিসিএইচ, ঢাকার পিজি থেকে এফসিপিএস এবং লন্ডন থেকে এফআরসিপি ডিগ্রি লাভ করেন।

ড. এম আর খান পেনশনের টাকা দিয়ে গড়েন তোলেন ডা. এম আর খান-আনোয়ারা ট্রাস্ট। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে তিনি দুস্থ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবার জন্য নিরন্তর কাজ করেছেন। তাঁর প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে ঢাকার শিশুস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। তিনি গড়ে তুলেছেন সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতাল, যশোর শিশু হাসপাতাল, সাতক্ষীরা ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার, রসুলপুর উচ্চবিদ্যালয়, উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতাল, নিবেদিতা নার্সিং হোমসহ আরও বহু প্রতিষ্ঠান।#

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট