শাহজাহান নবীনের কবিতা “সরব রজনী”
ঘুমহীন রাত, রাতহীন ঘুম দুটোই বেশ অনিয়মিত ব্যাপার!
নিশাচর নাকি নিশিজাঁগা চরণ
অপেক্ষা না কি আক্ষেপের অবরোধ?
যদি ভেবে নিই,
যদি ভেবে নিই এ যেন এক দশক পরের রাত্রি
তবে তা হবে অচেনা মুখের ললাট ভরা হাসির খোরাক।
তা হবে এক আহাম্মকের স্বপ্ন বিলাস
তখন হবে পরিপাটি সব।
হয়তো পাবে না এ রাত
যে রাতে খুঁজে পায় এক অনন্ত সত্বা!
নির্জনতার আড়ালে কেঁপে কেঁপে উঠে বাতাসের বেগ
মাধবীলতার ফাঁকে জ্বলে ওঠে টিমটিমে নক্ষত্রের আলো।
যে রাতে ভেসে আসে দুর আযাানের ধ্বনি
আড়মোড়া ভেঙে পাখির কিচির মিচির শুনি।
একটা আবেদন রেখেছিলাম রাতের কাছে
যেন সে আধাঁর না লুকোয় আলোর মাঝে!
রাত সে কথা রাখবে বলে বিশ্বাস ছিল না
তবে আধাঁর আমার খুব দরকার।
ঘন কালো আধাঁর
শুনশান চারপাশ ঝিঁঝিঁ পোকার কিটকিটে ডাক
সাথে শিউলী ফুলের ঘ্রাণ।
এসব আবেদন বড় জমিদারী আবেদন
রাত আমাকে বললো- আধাঁর তোমার খুব প্রিয়?
যে আধাঁর বিলাতে গিয়ে আমি রোদে পুড়ে
জলে ভিঁজে জেঁগে থাকি ৯্রপ্রহর
সেই আধাঁর তোমার কাব্য জোগায়?
কত বছর ধরে তোমাদের কাব্য জুগিয়েছি আমি
সে খেয়াল রাখো?
কখনো কি ভেবে দেখেছো
রাতেরও একটু বিশ্রাম দরকার
একটু আধাঁর দরকার
যে আধাঁরে রাত একটু ঘুমিয়ে নেবে তোমাদের মত আলসে হয়ে।
যে রাত হবে নির্জনতার আড়ালে, আধাঁরে ঘেরা “সরব রজনী”!