রাবিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

RU Logoরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আকতার জাহান জলি ও শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপুর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে ক্লাস বর্জন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আগামী ২ নভেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি পালন করবে। তবে পরীক্ষা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রুবেল বলেন, আমাদের শিক্ষক আকতার জাহান ও সহপাঠী লিপুর মৃত্যু তদন্তে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হওয়ায় আমরা হতাশ। তবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আগামী ২ নভেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত আমরা ক্লাসে বসবো না। তবে ঘোষিত পরীক্ষাসমূহে আমরা অংশগ্রহণ করবো।

সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ বলেন, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লিপু হত্যার বিচার দাবিতে মশাল মিছিল কর্মসূচি পালন করা হবে। ক্লাস বর্জনের বিষয়ে বিভাগের সভাপতি প্রদীপ কুমার পান্ডে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। এখন তারা ক্লাসে না আসলে আমরা কাদের ক্লাস নিবো? তারপরও আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবো, তারা যেন ক্লাসে ফিরে আসে।’

Post MIddle

এদিকে বিভাগের লিপু হত্যার বিচার দাবিতে বিভাগের বেঁধে দেওয়া সাত দিনের আল্টিমেটাম শেষে আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও শিক্ষার্থী সমাবেশের আয়োজন করেছে বিভাগটি। এর আগে মানববন্ধন, র‌্যালি, প্রদীপ প্রজ্বালন, গণস্বাক্ষর, পথনাটক, গণসংগীতসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসব আন্দোলনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা একাত্ত্বতা প্রকাশ করেন।

গত ২০ অক্টোবর নবাব আব্দুল লতিফ হলের ড্রেন থেকে লিপুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন বিকেলে লিপুর চাচা বাদী হয়ে নগরীরর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় লিপুর রুমমেট মনিরুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

অন্যদিকে, গত ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষক জলির লাশ নিজ কক্ষ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন মতিহার থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন জলির ভাই কামরুল হাসান। কিন্তু তার দেড় মাস পরেও ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট দিতে পারেনি পুলিশ। ##

পছন্দের আরো পোস্ট