বেরোবির ৭৫ একর ক্যাম্পাসে নেই কোন খাবার ব্যবস্থা !

BEROBIসারা দিন ক্লাস। অনেক সময় সকাল কিংবা দুপুরের খাবারটাও সময়মতো খাওয়ার সুযোগ হয় না ক্লাসের চাপে। পকেটে টাকা থাকলেও ক্যাম্পাসে হালকা দামে হলেও কিছু খাবার পাওয়ার সম্ভাবনা একে বারেই নেই। যেতে হয় ক্যাম্পাসের বাইরে। ইদানিং চড়া দামেও মান সম্মত খাবার পাওয়া দুষ্কর হয়ে গেছে বাইরের খাবারের দোকানগুলোতে। ফলে অনেক সময় না খেয়েই দিন চলে যায়। এসব বলেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষার্থী।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ৭৫ একরের ভেতরে কোন খাবার দোকান নেই। তবে কবি হায়াত মামুদ ভবনের পাশে ভাঙ্গা-চোরা একটা লম্বা ঘর দেখা যায়। যাতে একসময় খাবারের ব্যবস্থা ছিলো। কিন্তু ছাত্র রাজনীতির রোষানলে পরে ভাঙ্গচুর হওয়ায় আর তা চালু করা সম্ভব হয়নি।

berobi cafeক্যাফেটেরিয়া রয়েছে কিন্তু বন্ধ। তবে জানা যায়, বছরখানেক আগেই তা চালু করার কথা থাকলেও চালু না করে মাঝে মাঝে কিছু আলোচনা অনুষ্ঠান করা হয়। কোন বিভাগের র‌্যাগ ডে কিংবা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মতো অনুষ্ঠান ছাড়া আর কোন কাজে আসছে না এটি।

ছাত্রদের আবাসিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ মুখতার ইলাহী হলের ডাইনিং সূত্রে জানা যায়, ডাইনিং এ খেতে হলে একদিন আগেই ৪৫ টাকার বিনিময়ে তিন বেলা খাবারের টোকেন কিনতে হয়।

কেউ যদি একদি আগে টোকেন না নেন, তবে তার ডাইনিং এ খাবার কোন সুযোগ থাকে না। যদিও অনেকেই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় টোকেন ছাড়াই খাবার খেয়ে থাকেন বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু এর বাইরে কোন সুযোগ নাই। ফলে টাকার বিনিময়ে হলেও এক বেলা ডাইনিংএ খাওয়ার কোন সুযোগ থাকে না সাধারণ শিক্ষার্থীদের। মেয়েদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলেরও একই চিত্র।

Post MIddle

আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়, একদিন আগে ৪৫ টাকা দিয়ে টোকেন কিনেও মান সম্মত খাবার পাওয়া যায় না ডাইনিংএ। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা শিক্ষার্থীদের ফাও খাওয়ার পাশা-পাশি হলের ডাইনিং এর কর্মচারীরাও সিন্ডিকেট করেন।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগেও দুপুর কিংবা বিকেলে বেশ কিছু খাবারের দোকান বসতো ক্যাম্পাসে। ওখান হতে শিক্ষার্থীরা প্রযোজনের সময় খাবার খাওয়ার সুযোগ পেত। কিন্তু উপাচার্যের নির্দেশে সেই দোকানগুলোকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

আরো জানা যায়, বিশ^বিদ্যালয়ের ২ নং গেটের (কৃষ্ণচ’ড়া রোড) সম্মুখে, ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়মিত তিনটি খাবারের দোকান বসতো। প্রায় এক মাস চলারপর তাও সেখান হতে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নোমান জানান, ‘ক্যাম্পাসের ভেতরে কোন খাবারের দোকান নাই। তাই অনেক সময় খুদা নিয়েই ক্লাস করতে হয়। বাইরের দোকান না থাকলেও হলে ক্যান্টিন কিংবা ক্যাফেটেরীয়া চালু হলে আমাদের খাবারের একটু সুযোগ হতো।’

কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও অনেকেই অনেক সময় ক্যাম্পাসে খাবারের কোন সুযোগ না পাওয়ায় অনাহারে কিংবা বাইরের দোকনগুলোর দারস্থ হয়। তাদেরও দাবি অন্তত ক্যাফেটেরীয়া চালু খাবারের সুযোগ সৃষ্টি করার।
প্রক্টর শাহীনুর রহমান বলেন,‘ ক্যাম্পাসে দোকানপাট বসলে কাগজ কিংবা অন্য কোন ময়লায় ক্যাম্পাসটা নোংরা হয়ে যায়। তাই উপাচার্য মহোদয় এসবের কোন অনুমতি দেন না।’#

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট