
কৃতিত্বের স্বাক্ষরে ইবির আইন বিভাগ
ক্রীড়াঙ্গন, সংস্কৃতি, রাজনীতিসহ সবক্ষেত্রেই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে আইন বিভাগ। আন্তঃবিভাগ ক্রিকেটে টানা দুই বারসহ ফুটবলে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বিভাগটি। জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অন্যতম খেলোয়াড় ফাহিমা খাতুন এই আইন বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। অ্যাথলেট ফিরোজ, তাসলিমা খাতুন, ফুটবলার রয়েল, সবুজ, বেলাল, মেসি খ্যাত মাসুম, ক্রিকেটে মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত নাঈম, মুরালীধরন খ্যাত ইকো’দের মত জাতীয় পর্যায়ের ক্রিড়াবিদরা এই আইন বিভাগে অধ্যয়নরত রয়েছে।
বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম তোহা বলেন,আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা, ডিবেটিং, সাংস্কৃতিক কর্মকা-সহ এক্সট্রা কারিক্যুলার এক্টিভিটিজ এ সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। খেলোয়াড়দের ব্যাপারে শিক্ষকদের বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকার কারণে তারা এই বিভাগে ভর্তি হতে আগ্রহ প্রকাশ করে। বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ের বেশ কয়েকজন ক্রীড়াবিদ রয়েছে এই বিভাগে। আইন শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে সকল ক্ষেত্রের জন্য যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকরা একাত্ম হয়ে কাজ করছে।
এছাড়া বিভাগে এখন সব থেকে নজরে পড়ার মতো বিষয় হলো অবকাঠামোগত উন্নয়ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো বিভাগের মধ্যে সর্বাধুনিক এই বিভাগে রয়েছে ডিজিটাল সেমিনার লাইব্রেরি। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লাইব্রেরিতে রয়েছে উচ্চ গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগসহ ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব। দেশ-বিদেশ থেকে নানা ধরনের বিখ্যাত আইনি বই পুস্তক সংগ্রহ করে সমৃদ্ধ করা হয়েছে লাইব্রেরিকে। এমনকি প্রত্যেক শিক্ষককের ব্যক্তিগত অফিসেও দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার। বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ অফিস, প্রত্যেকটি শ্রেণিকক্ষ ও করিডোর এখন সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত। এছাড়া মুট কোর্ট ট্রেনিংয়ের জন্য রয়েছে নিজস্ব শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মুট কোর্ট গ্যালারি। যেখানে বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে বিচারক ও পেশাজীবী আইনজ্ঞদের সামনে হাতে কলমে বিচারিক প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান দান করা হয়।
বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জহুরুল ইসলাম তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন,বিভাগের শ্রদ্ধাভাজন সকল শিক্ষকের সহযোগিতায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ইউজিসির উচ্চ শিক্ষা মান উন্নয়ন প্রকল্পের আর্থিক অনুদানে ইবি আইন বিভাগ হবে একটি মডেল বিভাগ। এ বিভাগের থাকবে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি যা এখন অনেকটাই এগিয়ে। বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল লিগ্যাল এডুকেশনের পথিকৃত হতে চলেছে এই বিভাগ। ইতোমধ্যে আমেরিকার নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ল স্কুলের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে আইন বিভাগ।
বিভাগের বর্তমান একাডেমিক অবস্থা নিয়ে তিনি আরো বলেন,আইন বিভাগের ইতিহাসে ২০১৬ সালের ১ম বর্ষ অনার্স পরীক্ষা ২০১৬ সালেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ২০১৫ সালের অনার্স চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং ২০১৫ সালের মাস্টার্স চূড়ান্ত পরীক্ষা ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত হবে। আর ২০১৭ সালের মধ্যে সেশন জট শূন্যতে নেমে আসবে। এটা এখন শুধু স্বপ্ন নয় এটা আইন বিভাগের শিক্ষকম-লীর অগ্রগতির বাস্তবতা। পূর্বে বিদ্যমান অর্ডিন্যান্সের রক্ষণশীল ব্যাখ্যা আমাদেরকে পিছিয়ে দিলেও ইতিবাচক ব্যাখ্যা আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। তবে এর কোর্স কারিকুলামের ব্যাপক পরিবর্তন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। অতি দ্রুত টিচিং ম্যাটেরিয়াল্সসহ আধুনিক কোর্স কারিকুলাম প্রণীত হবে যা বিভাগকে অতি দ্রুত উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করবে। সেজন্য প্রশাসনসহ সকল মহলের সহযোগিতা তিনি কামনা করেন।