শিক্ষকবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন ইবি উপাচার্য

IU Logoইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেছেন অসামান্য সাধ ও সীমিত সাধ্য দিয়ে আমাদের সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে কিন্তু আমরা সকলেই যার যার অবস্থান থেকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে চেষ্ঠা করলে সীমিত সম্পদ দিয়েও আমরা কাঙ্খিত উন্নয়নের পথে বিশ্বদ্যিালয়কে পৌছে দিতে পারি।

আজ সোমবার দুপুরে আইন ও শরীয়াহ অনুষদের সম্মেলন-কক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী আইন ও শরীয়াহ অনুষদভুক্ত আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগ ও আল-ফিকহ বিভাগের শিক্ষকবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় কালে এ কথা বলেন। উপাচার্য বলেন কোর্স টিচারদের উচিত পরিপুর্ণভাবে কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার তারিখ ঘোষনা না করা।

তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যানে যেকোন সিদ্ধান্ত আসতে হবে নিচ হতে, সিদ্ধান্ত কখনই উপর হতে চাপিয়ে দেয়া হবে না। অনুষদের সম্মেলন-কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপাচার্য বলেন, আনন্দের সাথে জানাতে চাই, দায়িত্বগ্রহণের পর গত দুই মাসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। একটা স্থবিরতা ছিল, বন্ধ্যাত্ব ছিল। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রন্থাগারের পরিবেশ ঠিক করতে পেরেছি। সেখানে খুব শিঘ্রই এক লক্ষের অধিক ই-বুক ও ই-জার্নাল থাকবে গ্রন্থাগারের অনলাইনে পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রডব্যান্ড কানেশন ১০এমবিপি হতে ২৫০এমবিপি বাড়ানো হবে যাতে মুর্হূতের মধ্যে তথ্যের আদান প্রদান করা যায়। এছাড়া ওভারটাম থেকে বিপুল পরিমান টাকা সাশ্রয় করা গেছে।

Post MIddle

তিনি বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। বর্তমান প্রশাসন নৈতিকতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবে। কোথাও কোন সমস্যা চিহ্নিত হলে সঙ্গে-সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন, অনুপস্থিতির ব্যাপারটি আমি শুনতেই চাইনা। আমরা বিবেকশাসিত। নিয়মিত ক্লাস নেয়া আমাদের দায়িত্ব। বর্তমানের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ কোনভাবেই যেন বিনষ্ট না হয়। মত বিনিময় সভায় সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন আইন ও শরীয়াহ অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. নুরুন নাহার।

আরও বক্তব্য রাখেন আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম, আল-ফিকহ বিভাগের সভাপতি ড. এ কে মুহাঃ নুরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল, প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল করিম খান, প্রফেসর ড. রেবা মন্ডল, প্রফেসর ড. হালিমা খাতুন, প্রফেসর ড. গাজী ওমর ফারুক, প্রফেসর ড. আবুবকর জাকারিয়া মজুমদার, ড. মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, সহকারী অধ্যাাপক মোহাম্মদ আনোয়ার ওহাব, মোঃ আলতাফ হোসেন, রেহেনা পারভিন, আরমিন খাতুন ও মোঃ আমজাদ হোসেন প্রমূখ।

বক্তাগণ শ্রেণি-কক্ষ, পরীক্ষা-কক্ষ, পরিবহন সমস্যা ও চেয়ার-টেবিল স্বল্পতার সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। সেশনজটমুক্ত, শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে তাঁরা উপাচার্যকে সব ধরণের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। উপাচার্য শিক্ষকদের বক্তব্য অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সমস্যাসমূহ দূরীকরণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

পছন্দের আরো পোস্ট