বাড়তি ভাড়ার ফাঁদে গণবির শিক্ষার্থীরা

unnamedসাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্যাম্পাস কাছে হওয়ায় প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীই বাসা হতেই ক্লাস করে থাকেন। এর মধ্যে সাভার,মানিকগঞ্জ,গাজীপুর এবং ধামরাই উল্লেখযোগ্য। এসকল শিক্ষার্থীদের তাই যাতায়াত করতে হয় নিয়মিত আর প্রতিনিয়তই গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।

মানিকগঞ্জ থেকে আসা বি.বি.এ. বিভাগের শিক্ষার্থী নাসিমউদ্দিন অন্তর এ বিষয়ে বলেন, স্টুডেন্ট ভাড়া তো দূরে থাক, গাড়ীর স্টাফরা নায্য ভাড়াও নেয় না।আমরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি বলে কোন মূল্যায়ণই নেই এদের কাছে। কিছু বলতে গেলে গাড়ী থেকে নামিয়ে দেয়ার হুমকিও দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি অন্তত দুটি বাস শিক্ষার্থীদের দেয় তবে এই সমস্যার কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করেন তিনি।

Post MIddle

ধামরাই থেকে আসা ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা মৌ জানান তার অভিযোগ এভাবে, নিয়মিত যাতায়াত করতে হয় গাড়ীতে, এমনিতেই অতিরিক্ত যাত্রী তুলে তারমধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাড়া দ্বিগুন। কিছু বলতে গেলে অশালীন আচরণ করে স্টাফরা। যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তো ঘোষণা দিয়েই খালাশ যে, স্টুডেন্টদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নিতে হবে। এসব কি দেখছে না প্রশাসন?

গাজীপুর থেকে আসা আইন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজল মাহমুদ বলেন, আমরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি বলে গাড়ীর স্টাফরা আমাদের মূল্যায়ণই করে না। অথচ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনলে ঠিকই হাফ ভাড়া নিচ্ছে। তাহলে আমরা কি স্টুডেন্ট নই ? মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন ছুড়েন তিনি।

বাংলাদেশের প্রধান ব্যস্ত সড়কগুলোর মধ্যে ঢাকা-আরিচা এবং চান্দরা-নবীনগর সড়ক দুটি অন্যতম। এখানেই যদি এ অবস্থা হয় তবে সারা দেশের অবস্থা কি হবে ধারণাতীত। উক্ত সমস্যা কেবল প্রশাসনের একটু নজরদারি এবং ক্যাম্পাসের নিজস্ব বাসই পারে সমাধান করতে।

পছন্দের আরো পোস্ট