ড্যাফোডিলে বয়স্কদের আধিকার ও সেবা দানের শপথ গ্রহণ

studentsপারিবারিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ‘আজীবন মা-বাবার সাথে থাকার এবং বয়স্কদের আধিকার ও সেবা প্রদানের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেছে। আজ (৩১ অক্টোবর) সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত Our Parents will always be with us শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এ শপথ গ্রহণ করে। এ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অয়োজনে এবং এজিং সাপোর্ট ফোরাম ও ডিআইইউ ডিরেক্টর স্টুডেন্টস’ এফেয়ার্স এর সহযোগীতায় শিক্ষার্থীদের একটি সাইকেল র‌্যালী সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে সমবেত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেয়।

সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে শপথ বাক্য পাঠ করান বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী কাজী মেজবাউর রহমান মিশু এবং আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফুর রহমান পিয়াস। সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন বিবিএর শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ খান, মোঃ ইসমাইল সিদ্দিকী, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমনা ইসলাম, গাজী আনিসুর রহমান এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শামীমা আক্তার।

সংবাদ সম্মেলনে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা স্ব-প্রণোদিত হয়ে নিজেদের বিবেক ও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে শপথ গ্রহন করে যে তারা আজীবন তাদের পিতা-মাতার সাথে থাকব এবং তাঁদের প্রতি আরও যত্নশীল হবে। সেই সাথে বয়স্কদের অধিকার ও সেবা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে ভূমিকা পালন করবে।

Post MIddle

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের ভবিশ্যত পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং পর্যায়ক্রমে এ সচেতনতার ব্যপ্তি বিস্তৃত করে তৃনমূল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। পিতামাতার বার্ধ্যকের সময় তাদের অসুবিধার দিকগুলো বিবেচনা করে সঠিক পরিচর্যার বিষয়গুলো উপস্থাপন করা এবং পিতামাতার প্রতি সন্তানদের ভালবাসার ও দায়বদ্ধতার স্থানটুকু নিশ্চিত করার পাশাপাশি অনাকাংখিত দূরত্ব কমিয়ে আনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষার্থীদের প্রথম দিনেই এ শপথ পাঠ করানো হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। বার্ধ্যকের সময় পিতামাতারা যেন পরিবারের তথা সমাজের বোধা হয়ে না যায়, সে লক্ষ্যে তাদের সাধ্য অনুযায়ী দৈহিক ও মানসিক শ্রমের ব্যবস্থা করণেও শিক্ষার্থীরা কাজ করবে বলে অঙ্গীকার করে। যে সকল পিতা-মাতা বাধ্য হয়ে বৃদ্ধাশ্রমে অবস্থান করছেন তাদের নিয়মিত খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি তাদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করনে সাধ্যমত চেষ্টা করবে এবং সুবিধাবঞ্চিত বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মৌলিক চাহিদা পূরনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে হাতে হাত রেখে কাজ করার পরিকল্পনাও রয়েছে শিক্ষার্থীদের।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শুরু থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে কাজ করে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশ একমাত্র ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিই প্রথম “আর্ট অফ লিভিং” কোর্স প্রনয়ণ করেছে এবং সকল শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা আরো জানান, তারা তাদের মা-বাবার প্রতি সর্বোচ্চ যত্নশীল হবে এবং জীবনে কখনোই কোন অবস্থাতেই তাদের মা- বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে না।

পছন্দের আরো পোস্ট