কুবি বঙ্গবন্ধু হলে ৪০ আবাসিক শিক্ষার্থীর বিড়ম্বনা

comilla-uniপ্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারণে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রায় ৪০ জন আবাসিক শিক্ষার্থী আবাসিক পরিচয় নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। যেসব শিক্ষার্থী ২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলগুলো থেকে আবাসিকতা বাতিল করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র হয়েছেন তারা এই ঝামেলায় জড়িয়েছেন বলে জানা যায়।

অনুসন্ধানমতে, ২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল চালু হয়। একই বছরের শেষের দিকে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী তাদের নির্ধারিত হল বরাদ্ধ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিকতা নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। হলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হলে সংশ্রিষ্ট হল প্রশাসনকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের আবেদন মঞ্জুর করার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট তাদের পূর্বের হলের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের জন্য নামের তালিকা প্রেরণ করতে হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হলের তৎকালিন প্রশাসন আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের আবাসিকতা প্রদান করলেও পূর্বের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হলে সংযোগের জন্য নামের তালিকা প্রেরণ করেনি। ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের বঙ্গবন্ধু হলের কয়েকজন আবাসিক ছাত্র তাদের স্নাতকের সনদ পত্র তুলতে গেলে এ ত্রুটি ধরা পড়ে।

এদিকে, এসব জটলার সমাধান না করেই ঐ সব শিক্ষার্থীদের আবাসিকতার সকল কাজ সম্পন্ন করে বঙ্গবন্ধু হল। শিক্ষার্থীদেরকে হলের আবাসিক পরিচয় পত্র প্রদান করা সহ আবাসিক শিক্ষার্থীদের নামের তালিকায় তাদের নামও অন্তর্ভূক্ত করা হয়। আর এই শিক্ষার্থীরা প্রায় তিন বছর ধরে হলের যাবতীয় দেনা-পাওনাও পরিশোধ করে আসছেন।

হলসংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের পূর্বের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে নতুনভাবে রেজিস্ট্রেশন সংযুক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার মোশারফ হোসেন। তিনি জানান, ‘যে সব শিক্ষার্থী ২০১৩ সালে অন্যান্য হল থেকে বঙ্গবন্ধু হলে আবাসিকতা পরিবর্তনের আবেদন করেছিলেন তাদের নামের তালিকা হল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আমাদের কাছে প্রেরণ করা হয়নি।’

Post MIddle

আবাসিকতা প্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, শুরু থেকেই আমাদের হলের আবাসিক পরিচয় পত্র প্রদানসহ সকল প্রকার কাজ বঙ্গবন্ধু হলের নামে করা হচ্ছে। অথচ প্রশাসনিক এই অসঙ্গতি তৎকালীন হল প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারনেই হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের তত্ত্বাবধায়ক মো: আমির জানান, ‘২০১৩ সালে যারা অন্য হল থেকে এ হলে নতুনভাবে আবাসিকতার জন্য আবেদন করেছেন তাদের এ সমস্যা হয়েছে। প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী এ সমস্যায় পড়েছেন।’

জানা যায়, ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব। তিনি এই বিষয়ে বলেন, ‘আমি ঐ বছরের (২০১৩) শেষের দিকে যখন দায়িত্ব থেকে চলে আসি তখন এ নামের তালিকা প্রেরণ করার কথা ছিল।’

এদিকে বর্তমান প্রাধ্যক্ষ দুলাল চন্দ্র নন্দী তৎকালীন হল প্রশাসনকে দায়ী করে বলেন, ‘সমস্যাটি বর্তমান প্রশাসনের সময়কালীন নয়। পূর্ববর্তী ঐ সমস্যাটি নিয়মিত কাজ করার ফলে আর খেয়াল করা হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা চলছে।’#

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট