টেলিকমিউনিকেশন অলিম্পিয়াড ড্যাফোডিলে

শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননকে বিকশিত করার পাশাপাশি প্রযুক্তির জ্ঞানকে আরো বেশী শানিত করতে ও টেলিযোগাযোযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ে অতিরিক্ত জ্ঞানার্জনের লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় ”২য় টেলিকমিউনিকেশন অলিম্পিয়াড-২০১৬”।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে এ অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ জনাব হামিদুল হক খান, প্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এম. সামসুল আলম ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সিষ্টেম এনালিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তমিজ উদ্দীন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় অধ্যাপক প্রফেসর ড. গোলাম মওলা চৌধূরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এ. কে. এম. ফজলুল হক।

Post MIddle

এবারের অলিম্পিয়াডে নটরডেম কলেজের মোঃ মেহেদী হাসান চ্যাম্পিয়ান, এবং একই কলেজের ইশমুম মনজুর প্রথম রানার আপ এব মোঃ হাসিবুর রহমান ২য় রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রজেক্ট প্রদর্শন প্রতিযোগিতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাল্টিমিডিয়া এন্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগেরআশিকুর রহমান খানের ”কুয়েস্ট ফর ফ্রিডম (মানিকিন) প্রকল্প চ্যাম্পিয়ন হয় এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইটিই বিভাগের মোঃ আব্দুল্লাহ আল রাজিব এর “ইমারজেন্সী আর্থ কুয়েক এলার্ট” প্রকল্প প্রথম রানার আপ এবং সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির মোঃ আবু মোমেন কাদরিয়া ও মোঃ আল আমিনের “হোম এপ্লায়েন্সস সিস্টেম” ২য় রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এবারের অলিম্পিয়াডে ১৫ টি সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও ইন্সটিটিউটের প্রায় ২০০ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়েরউপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম বলেন, টেলিকমিউনিকেশন অলিম্পিয়াড এর মূল উদ্দেশ্য হলো টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন নতুন ধারনা উদ্ভাবন করে জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করা। এই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারষ্পরিক আলোচনা ও যোগাযোগ এবং মতবিনিময়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগ প্রযুক্তি হলো সর্বশ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি যা শুধু বাংলাদেশই নয় সমগ্র বিশ্বের ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মক্ষেত্রে একটি দ্বার উন্মোচন করবে।

সমাপনী ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব বিজয়ীদেও মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এস এম মাহাবুব-উল হক মজুমদার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক, দৃক আইসিটি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আলতাফ হোসেন ও মীর টেলিকম লিঃ এর ব্যভস্থাপনা পরিচালক এহতেশাম সামস্ আরেফিন। ##

পছন্দের আরো পোস্ট