ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যে সকল ‘মা-বোন’ নির্যাতিত হয়েছিলেন তাঁদের কেউ কেউ আইনগত বিচার পেলেও, এখনও সামাজিক ন্যায়-বিচার পাননি। আর সেজন্যই বেশীর ভাগ বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের ত্যাগের কথা প্রকাশ করেন না। এমনকি স্বাধীনতার এত বছর পরেও তাঁদের বিশেষ কোন ধরনের প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা হয় নি।
আর তাই বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের এসব নানান আক্ষেপকে তুলে ধরতে গবেষণা করবেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ড. তুরিন আফরোজ। বৃহস্পতিবার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র (সিআরটি) আয়োজিত গবেষণা প্রস্তাবনা সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সদস্য এবং সিআরটি’র চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. রফিকুল হুদা চৌধুরী।
![Post MIddle](https://lekhapora24.net/wp-content/uploads/2022/03/920X80.gif)
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী, বীরঙ্গণা পুর্ণবাসনকারী ও সংগঠক মালেকা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কর্জনসহ অনেকেই।
বক্তারা যথাযথভাবে গবেষণা সম্পাদন করে, সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে সেসব বীরঙ্গণা মুক্তিযোদ্ধাদের যেন ক্ষতিপূরণ দেবার জন্য পাকিস্তান সরকারের কাছে দাবী উপস্থাপন করা যায় সেদিকটার প্রতিও দৃষ্টি দিতে গবেষক ড. তুরিন আফরোজের প্রতি আহ্বান জানান। সেমিনারে সিআরটি’র নির্বাহী পরিচালক ড. শাহরীয়ার হক সহ ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।