রাবিতে লিপু হত্যাকান্ডের ঘটনায় সাত দিনের আল্টিমেটাম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপুর হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে বিভাগের পক্ষ থেকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। রোববার বিভাগের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ আল্টিমেটামের ঘোষণা দেন বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হলে পরদিন কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

Post MIddle

এসময় তিনি আরো বলেন, লিপু হত্যাকা-ের চারদিন পার হয়ে গেলেও তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। এ হত্যাকা-ের সুষ্ঠু তদন্ত করতে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের দেশের পুলিশ কি এতোটাই অযোগ্য? ক্যাম্পাসে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যেও একজন শিক্ষার্থী ড্রেনের মধ্যে পড়ে থাকে কিভাবে? এরাই আবার বড় বড় জঙ্গি ধরে। তাহলে আমরা কি বুঝবো? আর এ ব্যর্থতাই বা কার?

মানববন্ধনে বিভাগের শিক্ষক সেলিম রেজা নিউটন বলেন, ‘‘এ হত্যাগুলো সিস্টেমেটিক হত্যাকান্ড। আমাদের ভাবতে হবে কাঠামোগত সংস্কার আমাদের জন্য প্রয়োজন কিনা, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়, রাষ্ট্র সকলকেই। ভাবতে হবে, ক্যাম্পাস-রাষ্ট্র পরিচালনা পদ্ধতিতে মৌলিক কোন সংস্কারের প্রয়োজন আছে কিনা।’’

তিনি আরো বলেন, ‘একের পর এক হত্যা হচ্ছে। যা আমাদের সবার স্বাভাবিক অস্তিত্বের জন্য শুভকর নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্যান্টনমেন্টে পরিণত হয়েছে। ক্যাম্পাসের ভেতরে পুলিশের অনেক ফাঁড়ি আছে। পুলিশ প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আছে। কিন্তু সেখান থেকে একটা মানুষকে খুন করে ফেলা হয়, আমরা কিচ্ছু জানবো না, সব দায়িত্ব তখন আজগুবি, গায়েবী ব্যবস্থার ওপরে গিয়ে পড়বে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।’

এসময় মানববন্ধনে নবাব আব্দুল লতিফ ও মতিহার হলের শিক্ষার্থীরা ব্যানার নিয়ে যোগ দেয়। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন নবাব আব্দুল লতিফ হলের প্রাধ্যক্ষ বিপুল কুমার বিশ্বাস ও বিভাগের মাস্টার্সের শামীম। পরে বিভাগের সামনে থেকে একটি শোকর‌্যালি বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

গত বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল লতিফ হলের ডাইনিংয়ের পাশের ড্রেন থেকে লিপুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন লিপুর চাচা বশির মোল্লা।##

পছন্দের আরো পোস্ট