রাবিতে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন

“শিশুরা নিষ্পাপ, ফুলের মত পবিত্র। শেখ রাসেলকে হত্যার সময় সে ছিল ১১ বছরের শিশু। কিন্তু সেও ঘাতকের হাত থেকে রেহাই পায়নি। শিশু হত্যার মত এই নৃশংস ঘটনা গোটা বাঙালি জাতিকে অপরাধী করে দেয়। প্রত্যেক শিশুই অমিত সম্ভাবনার অনিঃশেষ উৎস। আজ শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে সে দেশ ও জাতির অন্যতম কৃতী সন্তান হতে পারতো, হতে পারতো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার অন্যতম কুশলী কারিগর।” বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫২তম জন্মদিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল স্কুল আয়োজিত আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ এসব কথা বলেন।

সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তাঁরা আরো বলেন, “তোমরা একদিন বড় হবে, তোমাদের মধ্যে সুপ্ত সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলতে হবে। তোমরাই হবে আগামী দিনে দেশের কর্ণধার। তাই তোমাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে গড়ে উঠতে হবে, দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দিতে হবে। তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে আজকের বাংলাদেশ। তাই তোমাদেরই এগিয়ে যেতে হবে দেশ ও জাতির কল্যাণে।”

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫২তম জন্মদিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল স্কুলে আলোচনা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপিত হয়। সকাল ১০টায় স্কুল প্রাঙ্গণে জন্মদিনের কেক কাটেন প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। এসময় সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর সায়েন উদ্দিন, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মুহাম্মদ এন্তাজুল হক এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর মো. আনসার আলী।

অন্যান্যের মধ্যে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর মো. মজিবুল হক আজাদ খান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. মশিহুর রহমান, রাবি স্কুলের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. আলী আহসান, প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনির, হিসাব পরিচালক আশরাফ-উল-হুদা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

স্কুলের অধ্যক্ষ মোমেনা জীনাতের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে স্কুলের উপাধ্যাক্ষ লায়লা আরজুমান স্বাগত বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন স্কুলের শিক্ষক ড. সৈয়দা দিলরুবা। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে আরো ছিল চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কারও বিতরণ করা হয়। ##