সোস্যাল বিজনেসে নেতৃত্ব দিচ্ছে তরুণেরা

সম্প্রতি কয়েক বছরে দেশে সামাজিক ও আর্থিক সুবিধাবঞ্চিতদের কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে গড়ে উঠেছে অসংখ্য সামাজিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে গড়ে প্রায় এক হাজারেরও বেশি তরুণ। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা তরুণেরা যাদের বয়স ৩৫ বছরের কম।

ব্রিটিশ কাউন্সিল পরিচালিত বাংলাদেশে সামাজিক ব্যবসা কার্যক্রমে নিয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রভাব নিয়ে  ‘দ্য স্টেট অব সোস্যাল এন্টারপ্রাইজ ইন বাংলাদেশ’ ও ‘সোস্যাল এন্টারপ্রাইজ পলিসি ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৪৯।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অধিকাংশ সামাজিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিক, প্রধান নির্বাহী ও পরিচালকদের অধিকাংশই তরুণ। এসব উদ্যোক্তার ৭০ শতাংশেরই বয়স ৩৫ বছরের কম। ৯১ শতাংশের বয়স ৪৫ বছরের নিচে।

জরিপে দেখা যায়, সামাজিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীরা পুরুষের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশে এসব প্রতিষ্ঠানের আয় বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক টার্নওভার ২১ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছর এর পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশ বাড়বে।

Post MIddle

এ খাতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাবকে এ খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্য প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আছে অর্থেনৈতিক সংকট, সচেতনতা ও অর্থের নগদ প্রবাহের স্বল্পতা। এক্ষেত্রে অর্থ সাহায্য, অনুদান ও স্বল্পমাত্রার ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সমস্যা সমাধানে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে সামাজিক ব্যবসায়িক উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। ২০১৫ সালে জরিপে অংশ নেয়া উদ্যোগের মাধ্যমে ৩ হাজার ১৮৩ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। এছাড়া চলতি বছর সৃষ্টি হয় ৩ হাজার ৩৮৮ জনের।

জরিপ পরিচালনাকালে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়। এতে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিকল্পনায় সবচেয়ে অগ্রাধিকার খাত হলো জনবল গঠনে বিনিয়োগ। এছাড়া রয়েছে নতুন পণ্য ও সেবা চালু, মূলধন বৃদ্ধি, নতুন সংস্থার সঙ্গে একীভূতকরণ এবং ভৌগোলিক অবস্থান বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা।

দেশের সামাজিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই কাজ করে শিক্ষা খাতে। ৩২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানই শিক্ষা খাতে কাজ করে। আর অন্যান্য সেবা খাতে কাজ করে ২৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। ব্যবসায় উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা সহায়তা খাতে ২২ শতাংশ, জীবিকা ও কর্মসংস্থান খাতে ২১ শতাংশ এবং স্বাস্থ্য খাতে ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান কাজ করে।##

পছন্দের আরো পোস্ট