সংশোধন হচ্ছে ইউজিসি আইন

UGCকমিশনের পরিসর ও ক্ষমতা বাড়াতে সংশোধন করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আইন। য‍ুগোপযোগী করে আইনের খসড়া তৈরি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিগগিরই এই খসড়া মন্ত্রিসভায় জমা দেওয়া হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম  বলেছেন, ইউজিসি আইন অনেক পুরাতন। তাই যুগোপযোগী করে কমিশনের পরিসর বাড়িয়ে আইনের খসড়া প্রস্তুত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এখনও আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় আসেনি। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, আইনের খসড়া করা সম্পন্ন করেছে মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ইউজিসি ‌আইন করা হয় ১৭৭৩ সালে। এটি যুগোপযোগী করে আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই খসড়াটি মন্ত্রিপারিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।

আইন সংশোধনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, অনেক আগেই একটি খসড়া করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে খসড়াটি করা। খসড়ায় কমিশনকে শক্তিশালী ও যুগপোযোগী করতে প্রস্তাবনা রয়েছে।

চেয়ারম্যান বলেন, আইনের খসড়ায় আমরা উচ্চ শিক্ষা কমিশন করতে বলেছি, যা অন্য সব দেশেই আছে। পূর্ণাঙ্গ সায়ত্ত্বশাসন চেয়েছি। ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানে সায়ত্ত্বশাসন রয়েছে। ভারতের কমিশন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

Post MIddle

খসড়ায় যেসব বিষয় রয়েছে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত করার পর রাখা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আব্দুল মান্নান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কী করেছে, তা জানা যাবে মন্ত্রিপরিবষদ বিভাগে জমা দিলে।

এদিকে, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র একটি কমিশন ‘অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল’ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে সোমবার (১০ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৬ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

যদিও অন্য দেশে উচ্চ শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ এবং নিশ্চিত করে উচ্চ শিক্ষা কমিশন।   ইউজিসি ‌আইন করা হয় ১৭৭৩ সালে। তখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ছয়টি। এখন পাবলিক ও বেসরকারি মিলিয়ে ১৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে ৯৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থাকার পরেও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নিশ্চিত করতে সনদ প্রদানের ব্যবস্থা রেখে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মঞ্জুরি কমিশনের গুরুত্ব কমবে কিনা জানতে চাইলে ইউজিসির চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, এই আইনের খসড়াটিও আমরা করেছি। এটি আলাদা একটি প্রতিষ্ঠান। মঞ্জুরি কমিশনের কর্মপরিধি ব্যাপক।

ইউজিসি সংশোধন আইনের খসড়ার কশিমনের চাওয়া কতটা রাখা হবে কিংবা সুপারিশ কতটা খসড়ায় খাকছে তা প্রাথমিকভাবে স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।

পছন্দের আরো পোস্ট