বইয়ের বোঝা কমছে শিক্ষার্থীদের

Children with school bagশিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা কমছে। এজন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত অপ্রাসঙ্গিক বই বাদ দেয়া হবে। মৌলিক বইয়ের বাইরে কয়েকটি বইকে একটি বইয়ের মধ্যে আনা হবে। পাশাপাশি বইয়ের মান বাড়ানো, ভাষা প্রাঞ্জল করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য চারটি কমিটি গঠিত হয়েছে। দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দেশবরেণ্য প্রবীণ শিক্ষাবিদদের। তাদের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি হবে জাতীয় প্রশ্নব্যাংক। গত রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়ে শিক্ষা উন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটি সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২০১৮ সালের শিক্ষাবর্ষের নতুন সংস্করণের বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। জানা গেছে, গত ২৬শে জুলাই জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০১৬-এর উদ্বোধনী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় ডিসিরা বিষয়টি তুলে ধরেন। তখন প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়টি জানিয়ে গত ২৯শে আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি দেয়া হয়। এর আলোকে এসব উদ্যাগ নেয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের মধ্যে সমন্বয় করার জন্য চারটি সাব-কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য একটি প্রশ্ন ভাণ্ডারও তৈরি করবে। মাধ্যমিক স্তরে শারীরিক শিক্ষা, চারুপাঠসহ অনেক অপ্রাসঙ্গিক বই রয়েছে।

এসব বিষয় পাঠ্যবই না করে খেলাধুলা বা শারীরিক শিক্ষাকে সীমিত করা হবে। এছাড়া বইয়ে অনেক সহজ বিষয় কঠিন করে তুলে ধরা হয়েছে। এসব বিষয় পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য রোববারের বৈঠকে চারটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলো হলো, কারিকুলাম পর্যালোচনা সাব-কমিটি, নির্বাচিত পাঠ্যপুস্তকের মান উন্নয়ন ও ভাষায় প্রাঞ্জলকরণের উদ্দেশ্যে সাব-কমিটি, প্রশ্নব্যাংক সাব-কমিটি ও পরীক্ষা সংক্রান্ত সাব-কমিটি। এসব কমিটি বৈঠক করে কমিটি চূড়ান্ত করবে।

পছন্দের আরো পোস্ট