সাহিত্যের কারিগর মিলি সুলতানা

Mili Sultanaলেখক বলতে কোন ব্যক্তির রচিত লেখনীকর্ম বা কোন কিছু লেখাকে বুঝায়। তবে যে কোন লেখার রুপকাররা লেখক কবি সাহিত্যিক হিসেবে স্বীকৃতি পায়না। সাহিত্যিকের লেখায় সাহিত্যিকরস গুণাবলী থাকতে হবে। সাধারণতঃ যে ব্যক্তি সৃষ্টিশীল কোন লেখনী দিয়ে পাঠকহৃদয় জয় করেন, পাঠকের প্রশংসা কুড়ান, তিনিই সত্যিকারের লেখক হিসেবে গণ্য হয়ে থাকেন । মিলি সুলতানা সেই একটি নাম যিনি খুবই উৎফুল্লতা নিয়ে কাব্য সাহিত্যের সব দরোজায় কড়া নেড়েছেন।

নিপুণ লেখার ক্ষমতা

খুব ছন্দময় আর সুরময় তার লেখার গতি। যেভাবে একজন পিয়ানোবাদক পিয়ানোতে সুর তোলেন। বেহালাবাদক বেহালা বাজিয়ে হৃদয় তোলপাড় করা সুর দিয়ে দর্শক মাতিয়ে রাখেন, লেখিকা মিলি সুলতানা পরিপূর্ণভাবে সেই কাতারে তার নিপুণ লেখার ক্ষমতা দিয়ে একটি ব্যতিক্রম আসন বানিয়ে নিয়েছেন নিজের জন্য তার গভীর চিন্তাশীল চিত্রকল্প দক্ষ লেখকের ইমেজে বন্দি করে দিয়েছে।

কবি সাহিত্যিকের সুনাম কুড়িয়েছেন

আমরা জানি লেখকের স্ত্রীবাচক শব্দ হচ্ছে লেখিকা। কিন্তু মিলি সুলতানা সাহিত্যজ্ঞান উত্তম ভাষাশৈলীর সহজ প্রকাশভঙ্গী নিজস্ব চিন্তাধারার প্রকাশ ঘটাতে পেরেছেন খুব সাবলীলভাবে। পাঠকের মন জয় করা মোটেও সহজ কথা নয়। উচ্চমানের সাহিত্যচর্চায় পারদর্শী নাহলে পাঠকের মনে স্থান করে নেয়া যায়না। মিলি সুলতানা একাধারে লেখক কবি সাহিত্যিকের সুনাম কুড়িয়েছেন।

রচিত গপ্ল উপন্যাস

Post MIddle

তার রচিত গপ্ল উপন্যাসের পটভুমি আমাদের নষ্ট বিবেক নষ্ট সমাজের চোখে বল্লমের মত ধারালো অস্ত্রের খোঁচা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে আমাদের নৈতিক পরাজয় কিভাবে ঘটছে। কিভাবে মানব হয়েও অমানবিক আচরণ করছি। সত্য বলতে হলে বুকে সাহস থাকা লাগে। এমন সাহস আজকাল খুব অল্প লেখকের মধ্যে আছে। এপারে আমি রাধা ওপারে তুমি, অন্ধকারের হায়েনা, খুঁজে পাবেনা নীল সীমানা, দেহকর, ফুলেশ্বরী, ওগো সুকন্যা, যুদ্ধশিশু, কোয়েলের মধুপূর্ণিমা প্রভৃতি গ্রন্থে লেখিকা আমাদের জীবনের লুকানো বাস্তব অকপটে বলে গেছেন তার লেখকসত্ত্বা দিয়ে। যা আমরা প্রকাশ করতে সাহস পাইনা।

বিশেষ লক্ষণীয় যে তার কবিতায় কোন না কোন মেসেজ থাকে। যা সবার প্রত্যাশিত। কবিতা মানুষকে উজ্জীবিত করে। মিলি সুলতানার তার মেধাশক্তি দিয়ে কাব্য সাহিত্য নিয়ে অনায়াসে খেলা করতে জানেন। একজন লেখকের জন্য যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

একজন সাহিত্যের কারিগর

একজন লেখক সাহিত্যিকের লেখায় বাস্তব পরাবাস্তব, ভালবাসা অচল সচল, জন্ম পরজন্ম, প্রজন্ম প্রজন্মান্তর এগুলো সবসময় চলমান থাকবে এটাই স্বাভাবিক। লেখক বা গল্পকার ধাবমান জোনাকিপোকার আলোছায়ায় খুব সাবলীলতা দিয়ে খুঁজে নিতে পারেন সাধারণ মানুষের মনের অপ্রকাশিত কথাগুলো। যেগুলো সাধারণ মানুষ বুকে ধারণ করে কিন্তু ব্যক্ত করতে পারে না। একজন সুদক্ষ গল্পের কারিগর সেই অব্যক্ত যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেন তার শব্দ ও বাক্যের মাধ্যমে। গল্পকার মিলি সুলতানা তেমন একজন সাহিত্যের কারিগর।

সমাজের অন্ধকার কোণগুলোতে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছেন

আমাদের চলমান সমাজের অনেক অসঙ্গতিপূর্ণ বিষয়কে তিনি তার কলম দিয়ে পূর্ণ ভালবাসা অসীম দ্রোহ ক্রোধ ও মননশক্তি দিয়ে হামানদিস্তায় ফেলে ছেঁচে গুঁড়ো করে দিয়েছেন। যার ফলে তৈরি হয়েছে আত্মবিশ্বাস। বিধ্বংসী আত্মবিশ্বাসের ড্রোন হামলায় লেখিকা মিলি সুলতানা সমাজের অন্ধকার কোণগুলোতে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছেন। তার লেখা অসংখ্য শক্তিশালী গল্পের মধ্যেই সেটা প্রমাণিত। এই পর্যন্ত তার ১৪ টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।#

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট