ঢাবিতে প্রযুক্তি হস্তান্তর কর্মসূচি ও অফিস উদ্বোধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তি হস্তান্তর কর্মসূচী ও অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এই কর্মসূচী ও অফিস উদ্বোধন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় এই কর্মসূচী উদ্বোধন করা হয়।

Post MIddle

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা মো: মোখলেছুর রহমান, এফবিসিসিআই’র সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি দেশে কারিগরি ও জীবন ঘনিষ্ঠ শিক্ষার আরও সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেও অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী কর্মসংস্থানের অভাবে বেকার জীবনযাপন করছেন। অথচ দেশের কারিগরি খাতে অনেক পদ শূণ্য রয়েছে। এসব পদ পূরণে বিপুল সংখ্যক দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে শুধু উচ্চশিক্ষার পেছনে না ছুটে তিনি কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের জন্য নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কর্মমুখী ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে তরুণ ও সৃজনশীল উদ্যোক্তা গড়ে তোলার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। শিল্পমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে শিল্প উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা তাঁর সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে কাজ করে চলেছেন এবং শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা, অর্থনীতি, দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশসহ সকল ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই অনন্য সফলতা অর্জন করেছেন। দেশে মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু, সাক্ষরতার হার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, বিনিয়োগ এবং রপ্তানি আয় বেড়েছে। এর স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী যেসব আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও এ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন মন্ত্রী তা তুলে ধরেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উন্নয়ন এবং ব্যক্তি ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্পের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মান আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনী মেনুফেস্টুতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলেই দেশে তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্প চালুর ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য উপাচার্য বিশ্বব্যাংক এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে ধন্যবাদ জানান। ##

পছন্দের আরো পোস্ট