যুক্তরাষ্ট্রে ফেলোশিপের সুযোগ পেলেন তিন তরুণ উদ্যোক্তা

Group Photoঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কেন্দ্র (সিইডি)  সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের তরুন উদ্যোক্তাফেলোশিপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম ২০১৬ ( অক্টোবর রাউন্ড) প্রাপ্ত তিন বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তাদের নাম ঘোষণা করেছে।ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট’র শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ব্যুরো এর  অধীনে আগামি  ২০ অক্টোবর   ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামটি  যুক্তরাষ্ট্রর   ওকলাহোমা ও ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে।  সোমবার  সন্ধ্যায়  রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জিডিএলএন সেন্টারে এক প্রি ডিপারচার ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে ফেলোশিপ প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয় এবং এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামটির যাবতীয় বিষয় নিয়ে ফেলোদের অবগত করা হয়।

ফেলোশিপ প্রাপ্ত  তিন উদ্যোক্তারা হলেন হাআস এর  কর্ণধার নওরিন আয়েশা, সারজ ইঞ্জিনিরিং প্রধান নির্বাহী নিলয় দাস এবং ‘মনের বন্ধু’র সহ- প্রতিষ্ঠাতা জাহিদ হোসেইন খান  ।  শামীম ই হক, সহকারী অধ্যাপক, ব্র্যাক বিজনেস স্কুল ও প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর, সিইডি ফেলোশিপ প্রাপ্তদের  নাম ঘোষণা করেন।  এসময় ব্র্যাক বিজনেস স্কুলর উপদেষ্টা অধ্যাপক ডঃ রহিম বি তালুকদার  সহ পূর্ববর্তী বছরের ফেলোশিপ প্রাপ্ত এ জেড এম সাইফ, সৈয়দ রবিউস সামস, রাতুল দেব এবং সঙ্গীত শিপ্লি জয় শাহরিয়ার   উপস্থিত  থেকে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামটি সম্পর্কে ফেলোদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ড ইলানি স্টাইন, অধ্যাপক,  গেলর্ড সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ কলেজ, ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয় স্কাইপির মাধ্যমেফেলোশিপ প্রাপ্তদের  শুভেচ্ছা জানান এবং এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামটির নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

Post MIddle

বাংলাদেশ থেকে উল্লেখিত  ফেলোশিপ প্রাপ্তরা তিন স্তরের নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আবেদনকারীর মধ্যে থেকে নির্বাচিত হন।  এছাড়াও ভারত ও মিয়ানমার  থেকে তিন জনকরে তরুণ উদ্যোক্তা  ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেলর্ড সাংবাদিকতা  ও গণযোগাযোগ   কলেজে অনুষ্ঠিতব্য  ওই ফেলোশিপ প্রগ্রামে যোগদান করবেন।

উল্লেখ্য,  গেলর্ড সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ কলেজ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কেন্দ্র, ব্র্যাক মায়ানমার ও ভারতের উদ্যোক্তা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এই তরুন উদ্যোক্তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ সপ্তাহ ব্যাপী একটি ফেলোশিপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের  আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারতের বেসরকারি খাত, সরকার, সুশীল সমাজ বা শিক্ষকতায় জড়িত ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সের উদ্যোক্তা ও ছোট ব্যবসায়ীরা এতে অংশ গ্রহন করে থাকেন।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক ব্যুরোর সহায়তায় প্রোগ্রামটি, উল্লেখিত তিন দেশ সহ  এবং ওকলাহোমার তরুণ ব্যবসায়িক উদ্যোগ, ব্যবসায় প্রশাসন, সরকার, এনজিও ও শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি সমন্বয় করা হবে। কমিউনিটি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম বা ওকলাহোমায় ক্ষুদ্র ব্যবসার মধ্যে সংযোগ করা ছাড়াও আমেরিকার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহনের সুযোগ থাকবে। ২০১২ সাল থেকে এই তরুন উদ্যোগতা ফেলোশিপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামটি চালু হয়ে আসছে।

পছন্দের আরো পোস্ট