চিকিৎসায় নোবেল পেলেন জাপানের ইয়োশিনোরি

প্রাণিকোষ নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জাপানের এক বিজ্ঞানী। তার গবেষণা ক্যান্সার, পারকিনসন্সের মতো জটিল রোগের চিকিৎসায় ‘যুগান্তকারী’ অগ্রগতি আনতে পারে বলে মনে করে নোবেল একাডেমি। সোমবার চিকিৎসাবিজ্ঞানে চলতি বছরের বিজয়ী হিসেবে ইয়োশিনোরি ওসুমির নাম ঘোষণা করা হয়। সুইডেনের নোবেল একাডেমির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

Post MIddle

প্রাণিকোষ কী করে নিজের উপাদানকে পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করে- সেটি নিয়ে গবেষণা করেছেন ওসুমি। নোবেল একাডেমির বিবৃতিতে বলা হয়, ঠিক কোন জটিলতার কারণে ক্যান্সার থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস, পারকিনসন্সের (এক ধরনের স্নায়ুরোগ, যা শরীরের বিভিন্ন অংশকে অবশ করে দেয়) মতো জটিল রোগ হয়, তা বুঝতে ওসুমির গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাপানের এ বিজ্ঞানী দেখান, কী করে প্রাণিকোষ তার নিজের উপাদানকে গ্রাস করে ফেলে (খেয়ে ফেলে)। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এ প্রক্রিয়াকে ‘অটোফ্যাজি’ বলা হচ্ছে। কোষের কোন জিন এ ধরনের ঘটনার জন্য দায়ী, সেটি চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন ওসুমি।

তিনি বলেন, অটোফ্যাজির জন্য দায়ী জিন পরিবর্তিত বা খারাপ হয়ে পড়লে তা রোগের কারণ হতে পারে। আর ক্যান্সার এবং বিভিন্ন মানসিক রোগের জন্য এ অটোফ্যাজির প্রক্রিয়ার জড়িত থাকার কথাও জানান তিনি। বিজ্ঞানীরা মানছেন, ওসুমির গবেষণা ক্যান্সারসহ অন্যান্য জটিল রোগের চিকিৎসায় যুগান্তকারী সাফল্য এনে দিতে পারে।

নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার পাচ্ছেন ওসুমি। ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হবে। এর আগে গেল বছর গোলকৃমি ও ম্যালেরিয়ার পরজীবীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আইরিশ উইলিয়াম সি ক্যাম্পবেল, জাপানিজ সাতোশি ওমুরা এবং চীনা বিজ্ঞানী ইউইউ তু চিকিৎসায় নোবেল পান। আজ পদার্থ, বুধবার রসায়ন, শুক্রবার শান্তি এবং ১০ অক্টোবর অর্থনীতিতে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। তবে সাহিত্য পুরস্কার কবে ঘোষণা করা হবে- তার তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। প্রসঙ্গত, ইয়োশিনোরি ওসুমির জন্ম ১৯৪৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, জাপানের ফুকুওকায়। বর্তমানে তিনি টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।#

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট