ডিআইইউতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়ক শরৎকালীন স্কুল

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)’র আইন বিভাগ দ্বিতীয়বারের মত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত মাদারীপুর লিগ্যাল এইড এ্যাসোসিয়েশন (এমএলএএ)-এ আইন বিভাগের জ্যেষ্ঠ ছাত্রছাত্রীদের সমন্বয়ে বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) বিষয়ে শরৎকালীন স্কুল আয়োজন করে। মাদারীপুরে অনুষ্ঠিত এই শরৎকালীন স্কুলে বিভাগের প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী ছাড়াও নিম্ন আদালতের বিচারকবৃন্দ, বিশিষ্ট শিক্ষবিদ, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাইসুল ইসলাম সৌরভ, সহকারী অধ্যাপক ও সমন্বয়ক, আইন বিভাগ, ডিআইইউ ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতে এডিআর চালু করার প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধে তিনি ভূমি বিরোধ সহজে সমাধানে এডিআর এর অপরিহার্যতা তুলে ধরেন। মাদারীপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে এবং মুখ্য বিচারিক হাকিম জাকির হোসেন; ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সহ-সভাপতি, বোর্ড অব ট্রাস্টিস, ডিআইইউ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মো. নুরুজ্জামান বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এই উদ্যোগকে অনন্য বলে অভিহিত করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আইন শিক্ষায় তার শিক্ষক এবং ডিআইইউ’র প্রতিষ্ঠাতা ড. মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারীর অবদান গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। এসময় তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে তার বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী তার বক্তৃতায় বলেন শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমের বাইরে জ্ঞান অর্জনে উৎসাহিত করতে এবং অর্জিত জ্ঞানের সংগে বাস্তবতা মিল দেখাতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ঢাকার বাইরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম এ ধরণের শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়ে ইতিহাস রচনা করেছে। তিনি ছাত্রছাত্রীদের বাংলাদেশের এডিআর সম্পর্কে ভিন্নমুখী ও বিস্তর ধারণা প্রদান করতে শরৎকালীন স্কুলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান। অনুষ্ঠানের শেষে জাকির হোসেন দেওয়ানী মোকদ্দমায় এডিআর’র প্রয়োগ বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বিবিধ প্রশ্নের জবাব দেন। অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন সহকারী অধ্যাপক মিলি সুলতানা, সভাপতি, আইন বিভাগ, ডিআইইউ।

Post MIddle

শরৎকালীন স্কুলের দ্বিতীয় দিনে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বাংলাদেশে সালিশ আইন ও তার প্রয়োগ বিষয়ে নিজের মতামত বিবৃত করেন এবং মো. সানাউল হক, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, ঝালকাঠি মধ্যস্ততার বিভিন্ন আঙ্গিক নিয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে ড. জামিলা এ চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মধ্যস্ততার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন শীর্ষক নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। সবশেষে এমএলএএ’র সম্পাদক ফজলুল হক এডিআর’র প্রয়োজনীয়তা এবং এডিআর বিস্তারে এমএলএএ’র ভূমিকা বর্ণনা করেন।

শরৎকালীন স্কুলের শেষ দিন এমএলএএ’র উদ্যোগে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা মাদারীপুর জেলার কেন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত গ্রাম আদালতের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করে। ছাত্রছাত্রীরা এ সময় বাংলাদেশের প্রচলিত বিচার ব্যাবস্থার সমস্যাসমূহ, বিরাজমান সীমাবদ্ধতা এবং এর সঙ্গে মানবাধিকারের সম্পর্ক বিষয়ে পূর্ণাংগ জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিচার প্রাপ্তির সমস্যার কথা উপলব্ধি করতে পারে। অনুষ্ঠানের শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।#

rh

পছন্দের আরো পোস্ট