টিএসসিতে এশীয় চলচ্চিত্র উৎসব’১৬ এর উদ্বোধনী

DSC_2756আজ (৩ অক্টোবর) সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এমসিজে ফিল্ম ক্লাব এর আয়োজনএশীয় চলচ্চিত্র উৎসব’১৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের কালজয়ী অভিনেত্রী ‘মিষ্টি মেয়ে”খ্যাত সারাহ বেগম কবরী।আরো উপস্থিত ছিলেন স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম এবং  প্রজন্মের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ । প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন ঘটে এমসিজে ফিল্ম ক্লাব আয়োজিত এশীয় চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬ এর। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত ব্ক্তব্য প্রদান করেন বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল গণি সেতু।

এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য নিয়ে মঞ্চে আসেন ফিল্ম ক্লাবের সম্মানিত মডারেটর সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী। স্পন্সর ছাড়াই এই উৎসবে অভাবনীয় সাড়া দেখে তিনি উপস্থিত দর্শক ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় এমসিজে ফিল্ম ক্লাব ভবিষ্যতে তাদের গৌরবযাত্রা অব্যহত রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Post MIddle

উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “মনের সংকীর্ণতা দূর করতে এবং মানব সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখতে চলচ্চিত্র সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখে”। পাশাপাশি যে কোনো ধরণের উগ্রতা ও জঙ্গিবাদ দূরীকরণে সাংস্কৃতিক চর্চা বৃদ্ধিতে তিনি জোর দেন।

চিত্রনায়ক ফেরদৌস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ফেরদৌসের বক্তব্যেএই বিভাগের প্রতি তাঁর স্মৃতিকাতরতা স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ে। তিনি বিভাগের ছাত্রদের মাঝে চলচ্চিত্র অনুরাগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কার্যদিবসের একটি স্লট ছাত্র-শিক্ষকদের একসাথে চলচ্চিত্র দেখার দাবিতে ছাত্রদের সাথে একমত পোষণ করেন। এবং দর্শকদের হলমুখী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী- তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে মৌলিকত্ব নিয়ে আলোচনা করেন এবং কোন বিশেষ ফর্মুলা অনুকরণে ছবি নির্মাণে নিরুৎসাহিত করেন। পাশাপাশি তরুণ নির্মাতাদের স্বকীয়তা বিনির্মাণে বিশেষভাবে জোরদিতে বলেন। দেশীয় নির্মাতাদের যেকোনো ধরণের প্রতিকূলতা মোকাবেলায় দৃঢ়চিত্ত থাকার আহ্বান জানান।

সারাহ বেগম কবরী তাঁর বক্তব্যের একটা অংশ জুড়ে তাঁর ক্যারিয়ারের পাশাপাশি উঠে এসেছে চলচ্চিত্র উৎসবনিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতার কথা। এসবের পাশাপাশি তাঁর কন্ঠে চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে ফুটে উঠে কিছুআক্ষেপ । চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অধিক মনযোগ ও পৃষ্ঠপোষকতা কামনা করেন। একই সাথে চলচ্চিত্র উৎসবের এমন একটি উদ্যোগকে  তিনি সাধুবাদ জানান।

পছন্দের আরো পোস্ট