ঢাবিতে নাজমা জেসমিন চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের প্রয়াত শিক্ষক ড. নাজমা জেসমিন চৌধুরী স্মরণে ২৬তম স্মারক বক্তৃতা বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এতে ‘‘লীলা নাগ ও তাঁর জীবন সাধনা’’ শীর্ষক বক্তৃতা প্রদান করেন সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মালেকা বেগম।

Post MIddle

বক্তৃতা অনুষ্ঠান শেষে সকলকে ধন্যবাদ জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ইফ্ফত আরা নাসরীন মজিদ। বক্তৃতানুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষক রূপা চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমিরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। এ উপলক্ষে আয়োজিত বাংলা ভাষায় অধ্যয়নরত বিদেশী শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষায় ‘ঢাকার যানজট’ শীর্ষক ৫০০ শব্দের রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ী নিউজিল্যান্ড এর নাগরিক জ্যায়সন রিচি রাফসানকে উপাচার্য মেডেল পরিয়ে দেন এবং সার্টিফিকেট প্রদান করেন।

স্মারক বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. মালেকা বেগম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী লীলা নাগের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রসঙ্গ এবং তার কৃতি ব্যক্তিত্বের পরিচয় বিবৃত করেন। উপমহাদেশে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ভূমিকা সর্বোপরি সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক এবং নারী জাগরণের ইতিহাসে লীলা নাগের অনন্য সাধারণ ভূমিকার বিবরণ তুলে ধরেন। প্রগতিশীল ধ্যান-ধারণায় লীলা নাগের যাপিত জীবনের সাধনা ছিল বিপ্লবী আদর্শ নিয়ে নারী মুক্তির পথকে প্রশস্ত করা। মুক্তিযুদ্ধকালীন সম্পৃক্ত নারীকর্মী ও সংগঠকদের মধ্যে তিনি যেমন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছেন, তেমনি অব্যাহতভাবে তাঁর চেতনা বাংলাদেশের নারী আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শিক্ষা দিয়েছে, দিয়েছে প্রেরণা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সভাপতির বক্তব্যে প্রয়াত শিক্ষক ড. নাজমা জেসমিন চৌধুরীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক, গবেষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। প্রয়াত এই শিক্ষক নিজের যোগ্যতা ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে খ্যাতিমান ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করেছেন। শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে তিনি উজ্জীবিত করেছেন।

প্রতিবছর তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য উপাচার্য প্রয়াত শিক্ষক ড. নাজমা জেসমিন চৌধুরীর পরিবারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি আরও বলেন- নারী মুক্তির ক্ষেত্রে লীলা নাগ যে ঐতিহাসিক অবদান রেখে গেছেন তা আমাদের সবসময় স্বরণ রাখতে হবে। লীলা নাগসহ অসংখ্য বিদুষী নারীর অবদান এবং আদর্শকে ধারণ করে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। তাঁদের মত ব্যক্তিত্বই মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।##

পছন্দের আরো পোস্ট