শেকৃবিতে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যানিমেল সায়েন্স এ্যন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের(এএসভিএম) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ দিবস পালন করা হয়। এ বছর এ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘জলাতঙ্কঃ জানুন, টিকা দিন, নির্মূল করুন’।

মানুষ ও প্রাণীর জীবনঘাতী ভাইরাস ঘটিত রোগ জলাতঙ্ক। এ রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু নিশ্চিত হলেও সময়মত টীকা নিলে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই জলাতঙ্ক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা বিশ্বে প্রতি বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষ্যে আজ বুধবার বিকালে শেখ কামাল অনুষদ ভবন থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র‍্যালিতে অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দাশ ও অনুষদের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

র‍্যালি পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ কামাল উদ্দিন আহাম্মদ। এসময় অনুষদের মেডিসিন এ্যান্ড পাবলিক হেল্থ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কে, বি, এম, সাইফুল ইসলাম, এনাটমি, হিস্টোলজি এ্যন্ড ফিজিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, প্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডাঃ সাজেদা সুলতানা, মাইক্রোবায়োলজি এ্যন্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান মাহফুজুল ইসলাম ও সহকারি অধ্যাপক হাজ্জাজ বিন কবির, এনিম্যাল নিউট্রিশন, জেনেটিক্স এন্ড ব্রিডিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আল নূর মোঃ ইফতেখার রহমান, ডেইরি সাইন্স বিভাগের প্রভাষক আশিকুর রহমান, পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ আফতাবুজ্জামান, সার্জারি এন্ড থেরিওজেনোলজি বিভাগের প্রভাষক ডাঃ মোঃ রাশেদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোঃ নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস দাশসহ অনুষদের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, গ্রামে জলাতঙ্ক সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা আছে। এ ভ্রান্ত ধারণা দূর হলেই এ দিবস পালন সার্থক হবে। জলাতঙ্ক মানুষ, কুকুর, বাদুড়সহ বিভিন্ন প্রাণীর একটি রোগ যার কোন চিকিৎসা নেই। তবে সময়মত টিকা নিলে তা নির্মূল করা সম্ভব। এ রোগ প্রাণী থেকে মানুষে ছড়াতে পারে। তাই এ রোগ থেকে বাঁচতে সচেতনতা ও টিকা গ্রহণের বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, জলাতঙ্কের জন্য যদি সরকারিভাবে প্রতি বছর ভ্যাকসিন এর পদক্ষেপ হাতে নেওয়া যায় তাহলে অনেকাংশে কমে আসবে এই রোগের হার।

এএসভিএম অনুষদের ডীন, প্রফেসর ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসাইন তার বক্তব্যে প্রথমেই এএসভিএম অনুষদের শিক্ষার্থীদের দিবসটি পালনে এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বিশ্বের বুকে যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে এই শুভকামনা করেন।

উল্লেখ্য জীবনঘাতী ভাইরাস ঘটিত এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়।#

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট