ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: পড়তে পারেন স্বপ্ন নিয়ে

IU Logoপত্র-পত্রিকায় খবর আসে স্বপ্নের ক্যাম্পাস ক্যামব্রিজ বা অক্সফোর্ড। পড়তে পারেন ইউরোপ কিংবা কানাডা-অস্ট্রেলিয়ায়। এরকম খবর খুব কমই নজরে আসে “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: পড়তে পারেন স্বপ্ন নিয়ে।” প্রাচ্যের অক্সফোর্ড, জানবিবি, মতিহার অথবা পাহাড়ের দেশে পড়তে পারেন, এমন খবরও কমই দেখা মেলে। দেশের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর মেধাবী বের হচ্ছে। তারা আত্মনিয়োগ করছে দেশ গড়ার কাজে। কিন্তু দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করার থেকে বাইরের দেশের প্রতি আগ্রহী করা যেন বেশ আত্মতুষ্টির ব্যাপার।

দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার্থীদের ভীড় সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয়। ভর্তি পরীক্ষার মত বাঁধার প্রাচীর টপকে যোগ্যতা বলে জায়গা করে নিতে হয় প্রিয় ক্যাম্পাস ও স্বপ্নের বিদ্যাপীঠে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন থাকে আকাশ সমান। সবারই সাধ জাঁগে ঢাবি কিংবা বুয়েট বা অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার। কেউ পারে কেউ পারে না। আর্থিক টানাপোড়েন, আসন স্বল্পতা সহ নানা প্রতিকূলতার কারণে অনেক মেধাবী কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায় না। একেক শিক্ষার্থীর একেক রকম স্বপ্ন থাকে। কারো পছন্দ ঢাবি তো অন্য জনের রাবি। আর এই মতের বৈপিরিত্যের কারণে প্রতিটি বিদ্যাপীঠ খুঁজে পায় তার প্রাণ ভোমরার দল। দেশের হাজারো শিক্ষার্থী আছে যাদের স্বপ্ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এটি। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে হাটিহাটি পা পা করে বিশ্ববিদ্যালয়টি আজ বেশ বয়স্ক। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে অনেক শিক্ষার্থী কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। উন্নত জাতি গঠনে যোগ্য নাগরিক ও মানসম্পন্ন শিক্ষা বিতরণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এই সবুজ ক্যাম্পাসের জুড়ি নেই। আপনার পছন্দ ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের তালিকায় এই বিদ্যাঙ্গনের নাম রাখতেই পারেন। কেন আপনার পছন্দের ক্যাম্পাস হতে পারে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তা একটু ভেবে দেখুন।

অবস্থান: উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও বিতরণের জন্য সব চেয়ে প্রয়োজনীয় হলো মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও নিরিবিলি পরিবেশ। দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় শহর ছেড়ে একটু নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত। তার মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শহর থেকে যথাক্রমে ২৪ ও ২২ কিলোমিটার দুরে এক নির্জন ছায়া ঘেরা সবুজ বেষ্টনিতে গড়ে উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পশ্চিম পাশে দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে সম্ভার এই বিদ্যা চত্বর।

স্থাপত্য: মহাসড়কের পশ্চিমে শীতল ছায়ার গাঁ ঘেষে সু-উচ্চ দৃষ্টিনন্দন দালান। প্রধান ফটকে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম অভিবাদন পেরিয়ে পা রাখুন সবুজ ক্যাম্পাসের কালো কার্পেটে। বাম দিকে দৃষ্টি দিলেই চোখে পড়বে ক্যাম্পাস ভিত্তিক দেশের সর্ববৃহৎ শহীদ মিনার ও স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ স্মৃতিসৌধ। ডান পাশে একটু দেখুন মেহগনি আর দেবদারু গাছের সবুজ-কালো ছায়ার নিচে এক হাতে উন্মুক্ত রাইফেল নিয়ে অবিরাম মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ “মুক্তবাংলা” এখানেই অবস্থিত। শিক্ষার্থী হিসেবে আপনার ক্যাম্পাসে এই স্থাপত্যগুলো অবশ্যই গর্বের ব্যাপার।

একাডেমিক স্থাপত্য ও সুবিধা: বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে পাঁচটি একাডেমিক ভবন। ভিন্ন ভিন্ন নকশাঁয় তৈরি এসব ভবন ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য্যে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। এছাড়া শিক্ষক, কর্মকর্তাদের আবাসিক বিল্ডিং, প্রশাসনিক ভবন বেশ আকর্ষনীয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ভবন কেন্দ্রীয় মিলনায়তন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই মিলনায়তনে রয়েছে প্রায় প্রায় দেড় সহ¯্রাধিক আসন সুবিধা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের চুড়ান্ত প্রদর্শনী এই মিলনায়তনেই হয়ে থাকে। শিক্ষক-ছাত্র সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এই মিলনায়তনকে ঘিরেই সরব সারাবছর। প্রায় দুই ডজন সেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে টিএসসিসিতে। বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি, বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার, আবৃত্তি আবৃত্তি, তারুণ্য, উদীচী, ফিল্ম সোসাইটি, রম্যহাট, ব্যতিক্রম, লন্ঠন সহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী মেধাবী বের হচ্ছে এই বিদ্যাপীঠ থেকে। বিতার্কিক, অভিনেতা, টিভি ব্যক্তিত্ব যাই বলুন না কেন সব কিছুর দুয়ার আপনার সামনে। নাট্য নির্মাতা শিহাব শাহীন, হাসো খ্যাত কমেডিয়ান হিরো তারেক, নোমান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরী জ্বলজ্বলে প্রদীপ। যা আলো ছড়াচ্ছে গোটা দেশে।

আবাসন সুবিধা:
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে চারতলা বিশিষ্ট পাঁচটি (একটি নির্মাণাধীন) ছাত্র হল ও পাঁচতলা বিশিষ্ট তিনটি অত্যাধুনিক ছাত্রী হল। মনোমুগ্ধকর স্থাপত্যশৈলী ও সুযোগ সুবিধা রয়েছে এসব আবাসিক হলে। তবে আবাসন সুবিধার জন্য সৌভাগ্যবান হতে পারেন মাত্র ৩০% শিক্ষার্থী। তবে বাকিদের আবাসনের জন্য দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও শৈলকূপা শহর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলোতে এখন গড়ে উঠেছে ভাড়া বাসা ও মেস। স্বল্প খরচেই এসব বাসা বাড়িতে আপনি আপনার নিবাস গড়তে পারেন।

পরিবহন সুবিধা: যেসব শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধা পায় না তাদের কথা মাথায় রেখেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব পরিবহন সার্ভিস। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া শহরের উদ্দেশ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী পরিবহনের লক্ষ্যে চলে এই বাস সার্ভিস।

Post MIddle

স্বাস্থ্য সেবা: একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ রুপ দিতে হলে তাতে মানুষের প্রয়োজনীয় সব সুবিধা থাকা জরুরী। আবাসন, পরিবহন সুবিধার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য এই ক্যাম্পাসে রয়েছে নিজস্ব মেডিকেল সেন্টার। এখানে শিক্ষার্থীদের নানা রোগের প্রাথমিক ও প্রশমনমুলক স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়। সপ্তাহে সাতদিন ২৪ঘন্টা চালু থাকে এই মেডিকেল সেন্টার। রয়েছে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সহ তিনটি নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্স।

পড়তে পারেন যেসব বিষয়ে: অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরণের সুবিধা রয়েছে। তাই আপনি আজই নিবীড় পল্লীর ছায়ায় নিবিষ্ট এই বিদ্যাপীঠের সারথী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভাবতে পারেন। মানবিক ও কলা অনুষদ, ধর্মতত্ব অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ এবং আইন ও শরিয়াহ অনুষদের অধীন মোট ২৫টি বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ফোকলোর, আইন, মার্কেটিং, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন, গণিত, পরিসংখ্যান, কম্পিউটার সায়েন্স, বায়োটেকনোলজি এ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ফলিত পদার্থ, ফিন্যান্স, হিসাববিজ্ঞান, ইংরেজি সাহিত্য, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, লোকপ্রশাসন, অর্থনীতি সহ গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষার্থীদের পছন্দের বেশ কিছু বিভাগ রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এছাড়া আল-কুরআন এ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিস, আল-হাদিস এ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিস ও দাওয়াহ এ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিস বিভাগ নামে শুধুমাত্র মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য ধর্মতত্ব অনুষদের অধীন রয়েছে তিনটি বিভাগ।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য: উন্নত অবকাঠামো, সিলেবাস, জাতীয় মানের শিক্ষাবীদ গবেষক থাকলেই কোন প্রতিষ্ঠান সুন্দর ও সফল হতে পারে। এধারণা ঠিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয় মানেই নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্য আর মনমাতানো প্রাকৃতিক রুপের ছড়াছড়ি। আর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে টইটম্বুর সবুজ চাদরের মাঝে সদ্য প্রস্ফুটিত লাল গোলাপ। বিস্তির্ণ সবুজ মাঠ, উত্তরপাড়ার বুকল ফুলের সারি, শীতকালে কৃষ্ণচূড়া-সোনালু ফুলের রক্তিম পরশ, বর্ষায় কদম ফুলের হাতছানি আর প্যারাডাইস রোড আর পশ্চিমের মফিজ লেক। এসব প্রাকৃতিক উপকরণ একসাথে মিশে যেন স্বর্গপূরী। সাঁজানো পরিপাটি বাগান ও স্থাপনা প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য্যকে বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্যারাডাইস রোড ও ১২ চত্বর: সবুজ এই নির্মল ক্যাম্পাসে রয়েছে বেশ কিছু চত্বর। যে চত্বর গুলো ঘিমে জমে উঠে শিক্ষার্থীদের আড্ডা। বন্ধুর জন্মদিন, র‌্যাগ ডে সহ যেকোন আড্ডার প্রাণকেন্দ্র এসব চত্বর গুলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশের পর প্রথম যে চত্বরটি চোখে পড়বে এটির নাম “ফ্রেন্ডশীপ চত্বর”। এই চত্বরের উত্তরে “মুক্তবাংলা” ও দক্ষিণে “স্মৃতিসৌধ চত্বর” অবস্থিত। ফ্রেন্ডশীপ চত্বর পার হয়েই একই রকম দেখতে আরো একটি চত্বর যার নাম “ডায়না চত্বর”। বৃটিশ রাজ পরিবারের প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়নার নামে এই চত্বরের নামকরণ। ডায়না চত্বর থেকে দক্ষিণের রাস্তা ধরে এগিয়ে ডান হাতে আমবাগানের মধ্যে “বাংলা মঞ্চ চত্বর” ও “ইংলিশ চত্বর” অবস্থিত। বাংলা মঞ্চ চত্বরে সাংস্কৃতিক নানা উৎসবের আয়োজন করা হয়। আর ইংরেজি ভাষা চর্চার জন্য এক যুগ আগে তৈরি করা হয় ইংলিশ চত্বর। আমবাগানের দক্ষিণে অবস্থিত টিএসসিসি চত্বর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক চর্চার তীর্থস্থান এই চত্বর। এখানে সকাল থেকে রাত অবধি চলে সাংস্কৃতিক নানা সংগঠনের মহড়া। ডায়না চত্বরের উত্তর পাশে আমবাগানকে বলা হয় “টক-ঝাল চত্তর”। বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ধরণের মুখরোচক টক-ঝাল মিষ্টি হালকা খাবারের জন্য এই চত্বরের নাম “টক-ঝাল-চত্বর”। আমবাগান পেরিয়ে দ্বিতীয় প্রশাসন ভবনের সামনে দাড়িয়ে পশ্চিম মুখি হলেই চোখে পড়বে লম্বা রাস্তা। রাস্তার ডান পাশে কংক্রিটের বেঞ্চ আর বেঞ্চ ঘেষে লাগানো আছে বকুল ফুলের সারি। প্রায় অর্ধশত বকুল ফুলের গাছ রয়েছে এই রাস্তায়। তাই শিক্ষার্থীরা এই এলাকাকে “বকুল চত্বর” নামেই ডাকতে ভালবাসে।

এছাড়া অনুষদ ভবনের দক্ষিণ পাশে রয়েছে “বাদাম” চত্বর। ক্লাস শেষ হওয়া মাত্রই বন্ধুরা দল বেঁধে গিয়ে এই চত্বরে জমিয়ে দেয় বাদামে বাদামে আড্ডা। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে “লাইব্রেরী চত্বর”, প্রেমিক যুগলদের তীর্থস্থান ছাত্রী হল সংলগ্ন পশ্চিমপাড়ার “পেয়ারা চত্বর”। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃত্কি সৌন্দর্য্যে এই ১২ চত্বরের পাশাপাশি রয়েছে একটি লেক ও প্যারাডাইস রোড। কেন্দ্রীয় মসজিদের পশ্চিমে কৃত্রিম লেকের অবাস্তবিক নাম “মফিজ লেক”। বিকেল হলেই লেকের পাড়ে শিক্ষার্থীদের পদচারণা বেড়ে যায়। আর শীতের সময় এই লেকে আশ্রয় নেয় হাজারো অতিথি পাখি। তবে সম্প্রতি প্রেমিক যুগলদের পদচারণা ও আনাগোনায় সব থেকে জমে উঠেছে “প্যারাডাইস রোড”। শেখ হাসিনা হলের সামনে থেকে মেডিকেল সেন্টার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের নাম “প্যারাডাইস রোড”। ভাব বিনিময় ও মনের কষ্ট দুর করার জন্য বিকেল হলেই প্রেমিক যুগল ও রসিক শিক্ষার্থীরা ভিড় জমায় এ রোডে। সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত এই রাস্তা যেন পারফিউমের বাগান। বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি, আড্ডা, প্রেম, মোটর বাইক মোহড়া সহ নানা ভাবে ব্যস্ত এই “প্যারাডাইস রোড”। তবে অনেকের ধারণা, এই রাস্তায় হাটাহাটি করলে একটা অন্যরকম শান্তি ও অনুভুতি কাজ করে। যেকারণে সবাই এই রোডকে “প্যারাডাইস রোড” হিসেবে আখ্যা দিতেই ভালবাসে।

১২ চত্বর আর প্যারাডাইস রোডের ক্যাম্পাস ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। বকুল ফুল, কৃষ্ণচূড়া আর কদমফুলের বাহারি চির সবুজ ক্যাম্পাস এই বিদ্যানিকেতন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যই নয়, শিক্ষার মানোন্নয়ন, গবেষণায় বেশ এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যায়টি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি বিভাগে প্রায় ১৬শ ৯৫টি আসনে ভর্তির সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ১৫হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ণরত রয়েছে। সাংস্কৃতিক চর্চা, মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও অত্যাধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের যাবতীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়টি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই সর্ববৃহৎ শিক্ষাঙ্গনকে যদি এককথায় প্রকাশ করতে হয়, তবে বলতেই হবে-“ইহা একটি নিবিঢ় পল্লী, সুবিধা শহরের ন্যায়”। ফলে এই বিদ্যাপীঠ হতে পারে আপনার “স্বপ্নের সূতিকাগার”। #

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট