মেডিকেলে প্রতি আসনের বিপরীতে ৯ পরীক্ষার্থী

MEDICAL EXAM২০১৬-১৭ শিক্ষা বর্ষে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৯০ হাজারেরও বেশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা ৯ হাজারের বেশি। অর্থাৎ এবার মেডিকেল কলেজগুলোতে বিদ্যমান প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৯-এর অধিক জনকে ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীন দেশের বিভিন্ন স্থানে একযোগে আগামী ৭ অক্টোবর এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২০১৬-১৭ শিক্ষা বর্ষে দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়মানুযায়ী অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়। ৩১ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ছিল অনলাইনে আবেদনের শেষ সময়। নির্ধারিত সময়ে মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু মোট ৯০ হাজার ৩৩৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। গত বছরের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৯৬৪। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আবদুর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০০টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ৩০টি, বেসরকারি ৬৪টি এবং আমর্ড ফোর্সেস ৬টি। এমবিবিএসে সব মিলিয়ে মোট আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৬৭৯টি। সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৩ হাজার ২১২টি। এর মধ্যে সাধারণ কোটায় ৩ হাজার ১২৮টি, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৬৪টি, পার্বত্য এলাকার উপজাতি কোটায় ৯টি ও পার্বত্য এলাকার উপজাতি কোটায় ৩টি ও অন্যান্য জেলার উপজাতিদের জন্য ৮টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে।

Post MIddle

এছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা ৬ হাজার ৫৫১টি। এই হিসাব অনুসারে সামগ্রিকভাবে প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৯ দশমিক ৩৩ জনকে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। অন্যদিকে শুধু সরকারি মেডিকেল কলেজের প্রতিটি আসনের বিপরীতে ২৮ দশমিক ১ জনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। এ বছর প্রথমে ১৬টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে রংপুর ও কিশোরগঞ্জ এ দুটি মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আবদুর রশীদ বলেন, আগামী ৭ অক্টোবরের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ও ভর্তি পরীক্ষার আবেদনকারীদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পাঠ্যসূচির আলোকে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন হবে। তবে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ কঠোরতা অবলম্বন করা হবে।#

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট