বাকৃবিতে আধুনিক পশুপ্রজনন বিষয়ক কর্মশালা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) রোমন্থক প্রাণির (গরু, ভেড়া) আধুনিক বৈশিষ্ট্য উন্নয়নের লক্ষে পশুপ্রজননে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার বিষয়ে খামারিদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও হেকেপের অর্থায়নে ভেটেরিনারি অনুষদের সার্জারি ও অবস্টেট্রিক বিভাগের আয়োজনে ওই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

Post MIddle

কর্মশালায় বক্তারা জানান, আমাদের দেশে মাংস ও দুধের চাহিদা পূরণ এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য গবাদিপশুর জাত উন্নয়নের বিকল্প নেই। এই প্রকল্পের আওতায় গরু, ভেড়ার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে গবেষণালদ্ধ টেকসই প্রজনন সহায়ক প্রযুক্তি উদ্ভাবন যেমন সিমেন ও লিঙ্গ নির্ধারনী, শুক্রাণুর প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ, কৃত্রিম প্রজনন ও প্রতিস্থাপন ক্লোনিং বিষয়ে গবেষণা চলছে। সেইসাথে মানসম্পন্ন স্নাতকোত্তর শিক্ষায় গবেষণায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং খামার পযার্য়ে প্রযুক্তির বিস্তারের প্রচেষ্টা চলছে।

ভেটেরিনারি অনুষদের সার্জারি ও অবস্টেট্রিক বিভাগের প্রধান ড. মো. মাহমুদুল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলী আকবর। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো গোলাম শাহি আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মাহবুব মোস্তফা, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক ড. মনোরঞ্জন দাস এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. একেএম নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং খামারীরা উপস্থিত ছিলেন।কর্মশালায় মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার ড. নাছরীন সুলতানা জুয়েনা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা দেশের প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উন্নয়নে খামারীদের উন্নত প্রজনন কৌশল ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে গবেষণা বৃদ্ধি করতে খামারীদের সহযোগীতা কামনা করেন। দুটি পর্বে বিভক্ত কর্মশালায় দ্বিতীয় পর্বে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খামারীরা।##

পছন্দের আরো পোস্ট