রাবিতে কৃতী শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক প্রদান

RU Pic1(1) 21.09.2016‘মেধার বিকাশ তখনই ঘটে যখন এর যথাযথ লালন ও উপযুক্ত স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে স্বীকৃতি অর্জনকারীর পাশাপাশি স্বীকৃতিদাতাও সম্মানিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যেমন মেধার বিকাশে এক অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো, তেমনি প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও সম্মানিত হলো। জ্ঞানের বিশ্বায়নের এই যুগে সর্বক্ষেত্রে আমাদের মেধা ও মননশীলতার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। বিকাশ ঘটাতে হবে কল্যাণ ও উন্নয়নমূখী জ্ঞানের। এজন্য উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যুগোপযোগী কোর্স-কারিকুলাম প্রণয়ন, পাশাপাশি তার অনুসরণ ও শিক্ষার মান সংরক্ষণ অতীব জরুরি।’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।

আজ (২১সেপ্টেম্বর) বুধবার সকাল ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে ৬৪ জনকে অগ্রণী ব্যাংক স্বর্ণপদক, ৩ জনকে ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ স্বর্ণপদক ও ১ জনকে ডা. এ কে খান স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী এসব পদক প্রদান করেন। উপাচার্য তাদের স্বীকৃতিপত্র প্রদান ও অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান এতে স্বাগত বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বিশ্বায়নের এই যুগে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুনগত মান নিশ্চিত করা ও দেশ-জাতি-সমাজের সকল ক্ষেত্রে তার দৃশ্যমান ছাপ নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষাখাতে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কর্মকান্ডের উল্লেখ করে বলেন, সরকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জনগণের অর্থে অর্থায়ন করে। এই অর্থের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যাগুলোকে উচ্চশিক্ষার বিস্তার এবং মানসম্মত ও লাগসই গবেষণার তথা সামগ্রিকভাবে মেধাবিকাশের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার দৃঢ় প্রত্যয়ী। সেক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এক অনিঃশেষ জ্ঞানকেন্দ্র বলে তিনি উল্লেখ করেন। শিক্ষামন্ত্রী স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জাতির অন্যতম কৃতী সন্তান বলে উল্লেখ করে তাঁদের একবিংশ শতাব্দীতে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ গ্রহণে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।

Post MIddle

unnamed

অনুষ্ঠানে উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, পদকপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান ও মেধা দেশের কল্যাণে ব্যয়িত হলেই উচ্চশিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য সার্থক হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশ তথা এই অঞ্চলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে এগিয়ে নিতে প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিক্ষামন্ত্রী তথা সরকারসহ সংশি¬ষ্ট সকলের পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আগামীতেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সরকারের অনুরূপ আনুকূল্য অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মুহাম্মদ এন্তাজুল হক।

প্রসঙ্গত অনার্স, মাস্টার্স বা এমবিবিএস পরীক্ষায় অনুষদে প্রথম শ্রেণিসহ প্রথম স্থান অধিকারীকে অগ্রণী ব্যাংক স্বর্ণপদক, দর্শন বিষয়ে মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকারীকে ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ স্বর্ণপদক এবং এমবিবিএস (শেষ বৃত্তিমূলক, নিয়মিত) পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বরসহ চিকিৎসা অনুষদে প্রথম স্থান অধিকারীকে ডা. এ কে খান স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

পছন্দের আরো পোস্ট