নো ভ্যাট অন এডুকেশনের অভিনন্দন

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয়ের ওপর সরকার নির্ধারিত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আদায়কে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণার রায়কে অভিনন্দন জানিয়েছে নো ভ্যাট অন এডুকেশন।

নো ভ্যাট অন এডুকেশনের মুখপাত্র ফারুক আহমাদ আরিফ ও আন্দোলনের উদ্যোক্তা ও সংগঠক আরিফ চৌধুরী শুভ ও সংগঠক মাহফুজুর রহমান নাঈম কর্তৃক গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিনন্দন জানানো হয়।

মুখপাত্র ফারুক আহমাদ আরিফ বলেন, ২০০৭ সালে ২৮ জুন বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার সময়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের উপর সরকার ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছিল। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ১ জুলাই রাজস্ব বোর্ড প্রজ্ঞাপন জারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আয়ের ওপর ১৫ ভাগ করারোপ করা হয়। এমনকি শিক্ষার্থীদের যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের উপর সাড়ে চার শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোপের মুখে তুলে নিতে বাধ্য হয় সরকার। তার ৫ বছরের মাথায় অর্থাৎ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের উপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করে। তখন শিক্ষার উপর থেকে ভ্যাট তুলে নেওয়ার দাবিতে গঠিত হয় ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’ আন্দোলন প্লাটফর্ম। নো ভ্যাট অন এডুকেশন দেশব্যাপী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনকে আরও জোরদার করে। ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’ শান্তিপূর্ণ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এবং সর্বশেষে ১ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজমাহী, সিলেট ও খুলনায় রাস্তা অবরোধ করে ১৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ভাবে সরকার ও রাজস্ব বোর্ডকে শিক্ষা খাতের উপর অর্পিত ভ্যাট তুলে নিতে বাধ্য করে।

নো ভ্যাট অন এডুকেশনের মুখপাত্র বলেন, ২০০৭ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে সরকারের এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সে বছরের ডিসেম্বরে হাইকোর্ট রুল জারি করে যা ৯ বছর দুই মাস ৭ দিন পর নিষ্পত্তি হলো। মহামান্য হাইকোর্ট বিষয়টি নিষ্পত্তি করায় নো ভ্যাট অন এডুকেশনের পক্ষ থেকে রায়টিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। #

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট