সাফল্যের নায়ক শাহ্ আবদুল সাদী

মানুষ দেহ, মন ও আত্মার সমষ্টি। শাহ্ আবদুল সাদীও এমন একজন মানুষ। যিনি সাহিত্য, সৃজনশীলতা ও প্রশাসনের এ সপ্রতিভ ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন সাফল্যের নায়ক, সব সময় মানুষের সেবায় রত। তাঁর অনুপ্রেরণায় আমরা হয়েছি অনুপ্রেরিত ও গর্বিত। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে এবং আজীবন কথা বলায়। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ। সাহিত্যের প্রতি শাহ্ আবদুল সাদী’র যেমন আকর্ষণ ও ভালোবাসা আছে তেমনি, সাহিত্যের নানা বিষয়ে তাঁর সৃজনশীল ও মনশীলনতাও দক্ষতাপূর্ণ। মাসিক সাহিত্যপাতার ‘সাহিত্য সম্মাননা ২০১৬’ প্রদান করা হয় তাঁকে। শাহ্ আবদুল সাদী যেসব উদ্ভাবন সৃষ্টি করে গেছেন সাতক্ষীরাবাসীর কাছে তিনি থাকবেন ইতিহাস হয়ে। শুধু তিনি নন। তাঁর স্ত্রী তহমিনা খাতুনও, যিনি দেবহাটা উপজেলার ইউ.এন.ও হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন এবং উপজেলা পরিষদের পথ প্রদর্শক হিসেবে থাকবেন। বিশেষ করে শাহ্ আবদুল সাদী’র উদ্ভাবনী ইনোভেশন ‘শিক্ষাই প্রথম, বাল্য বিবাহকে লাল কার্ড’ স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

Post MIddle

শাহ্ আবদুল সাদী সদর উপজেলা পরিষদে স্থাপন করেছেন ডিজিটাল কর্ণার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাল্টিমিডিয়া ফ্যাসিলিটেটেড প্রশিক্ষণ-কাম-সম্মেলন কক্ষ, সার্ভার স্টেশন, ভিডিও কানফারেন্সিং সিস্টেম, নারীবান্ধব ওয়াশব্লক, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, গ্রাম পুলিশদের ওয়েটিং রুম, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আদর্শ লাইব্রেরি স্থাপন, ফ্রি-ওয়াই সিস্টেম, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান চর্চার সুযোগ। এছাড়া সদর উপজেলা পরিষদ পাখির অভয়আশ্রম হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরের তিনটি পুকুর সুপেয় পানির আধার হিসাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এই পুকুরে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মাঝে মাঝে আয়োজিত হয় সাঁতার প্রতিযোগিতাও। এছাড়া ‘শিক্ষাই প্রথম বাল্য বিবাহকে লালকার্ড।’, ‘আনন্দ টিকা কেন্দ্র।’, ‘মা ও শিশুর টিকা, আনন্দে ও স্বাচ্ছন্দে।’, ‘অনুশীলনের আনন্দে বিজ্ঞান শিক্ষণ।’, ‘কর্মময় জীবন। আলোকিত সমৃদ্ধ জীবন।’, ‘আর নয় ভোগান্তি, বৃষ্টির পানিতে মুক্তি।’, ‘উপজেলা এক আদর্শ স্কুল।’, ‘চর্চা আর শিক্ষণ, সুস্বাস্থ্যের সন্ধান।’, ‘ঘুচবে বেকারত্ব। একটি প্রশিক্ষণ, একটি কর্ম।’,‘প্রাকৃতিক জলাধারের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, জলাবদ্ধতার প্রশমন।’,‘‘পৌছে দেই ভূমি সেবা জনগণের দ্বারে।’,‘স্বল্প ব্যয়ে স্বস্তির ঘর।’, ‘ঘুচবে বেকারত্ব। একটি প্রশিক্ষণ, একটি কর্ম।’

২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে শাহ্ আবদুল সাদী যোগদান করেন। ইতোমধ্যে তিনি ভারত, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ের উপর মাস্টার্স কোর্স করার জন্য তিনি সাতক্ষীরা থেকে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে কর্মস্থল ত্যাগ করবেন।

উল্লেখ্য যে, শাহ্ আব্দুল সাদী ২০০৫ সালে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। পরে ২০০৯ সালে জামালপুর সদর এসিল্যান্ড হিসেবে বদলী হয়। ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর তিনি নড়াইলে ইউএনও হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে শাহ্ আবদুল সাদী যোগদান করেন। গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার খায়েরহাট গ্রামের প্রয়াত শিক্ষক শাহ্জাহান আলী ফকির ও (মাতা) আলেয়া খাতুনের পুত্র শাহ্ আবদুল সাদী। তাঁর কর্মদক্ষতার যথাযথ পরিচয়ে তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদকে করেছেন আলোকিত এবং সাতক্ষীরার প্রতিটি মানুষের কাছে থাকবেন চির জাগরুক।

লেখক : সাংবাদিক ও সম্পাদক, মাসিক সাহিত্যপাতা,সাতক্ষীরা।

পছন্দের আরো পোস্ট