যাঁদের জন্য গর্ব করতে পারে বাংলাদেশ

0,,19427900_401,00খেলা পারুক আর না পারুক৷ মাঠে থাকতেন কাজী সাবির৷ শীতকালে ক্রিকেট আর বর্ষাকালে ফুটবল৷ আর মাঝে মাঝে নটরডেমে গিয়ে বাস্কেটবল খেলা৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য খেলোয়াড় হয়ে ওঠা হয়নি, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে দলে খেলে আর টিভিতে খেলার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে স্বপ্ন কিছুটা হলেও পূরণ হয়েছে৷

চাকরিতে ঢুকেও স্পোর্টসের ভূত মাথা থেকে নামেনি সাবিরের৷ এক পর্যায়ে তাঁর মনে হলো, ভালোবাসার জায়গাটাকে কর্মক্ষেত্রে পরিণত করলে কেমন হয়! যেই ভাবা, সেই কাজ৷ খুব বেশি চিন্তা না করে মার্কিন দূতাবাসের চাকুরি ছেড়ে, চার বন্ধুতে মিলে শুরু করলেন, ‘ইম্যাগো স্পোর্টস এজেন্সি’৷

Post MIddle

নতুন আইডিয়া তাই বিশাল চ্যালেঞ্জ, কিন্তু আরো বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পরিবারকে রাজি করানো৷ মধ্যবিত্ত পরিবারে ছেলের চাকুরি ছেড়ে ব্যবসা করাটা, ছেলের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার চেয়েও বড় দুঃসংবাদ৷ কিন্তু সাবিরকে অবাক করে দিয়ে তাঁর স্ত্রী আর মা এই নতুন উদ্যোগে পূর্ণ সমর্থন দেন৷ আসলে পরিবার যে কোনো মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি৷

‘ইম্যাগো’র যাত্রাটা শুরু ২০১৫ সালে৷ খেলা পাগল চার বন্ধুর স্বপ্ন ছিল, খেলার সাথেই সম্পৃক্ত থেকে জীবিকা উপার্জন৷ স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কন্সেপ্টটা বাংলাদেশে একেবারেই নতুন৷ ‘ইম্যাগো স্পোর্টস এজেন্সি’ বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন সেরা খেলোয়ারদের ‘এক্সক্লুসিভ এজেন্ট’ হবার পাশাপাশি স্বনামধন্য ক্লাব এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের স্পোর্টস পোর্টফলিও ম্যানেজ করে৷

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে, বিসিবির অফিসিয়াল প্লেয়ার্স ম্যানেজমেন্ট পার্টনার হবার দায়িত্ব, ‘ইম্যাগো স্পোর্টস’-কে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড় এবং স্পোর্টস এজেন্টদের সাথে কাজ করার সুযোগ এনে দেয়৷

পছন্দের আরো পোস্ট