ঢাবিতে ছয়দফা আন্দোলন ও রাজনীতি শীর্ষক বক্তৃতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারের উদ্যোগে রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে “ছয়দফা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি” শীর্ষক নাজমুল করিম স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়।

স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. নেহাল করিম। বিষয়বস্তুর ওপর দীর্ঘ আলোচনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নূহ-উল-আলম।

Post MIddle

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অধ্যাপক নাজমুল করিমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ছয়দফা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। বাঙালি জাতিসত্ত্বার কেন্দ্রে ছয়দফা সব সময় অবস্থান করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয়দফা ঘোষণা করে বাঙালিদের একত্রিত করেছিলেন। তাঁর নির্দেশে ছয়দফার আন্দোলন জোরদার করতে তৎকালীন ছাত্র ও যুব সমাজ বিশেষ করে ছাত্রলীগের কর্মীরা ছয়দফা দেশের সর্বত্র সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। বঙ্গবন্ধুর ছয়দফা আন্দোলন, ছয়দফার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ের আন্দোলন এবং আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি যে অমানুষিক অত্যাচার ও জেল-জুলুম সহ্য করেছেন, তার ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক “ছয়দফা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি” শীর্ষক সারগর্ভ ও ইতিহাস সমৃদ্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হককে এবং এই স্মারক বক্তৃতা আয়োজনের জন্য নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারকে ধন্যবাদ জানান।

অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক তাঁর প্রবন্ধে বলেন, ‘১৯৬৬ সালের ৭ই জুনের হরতাল ও আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ছয়দফার প্রতি পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের তুলনাহীন সমর্থন প্রমাণিত হয়। আর সেদিনই শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে জনমনে দৃঢ় প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ছয়দফার আন্দোলনের কারণেই শেখ মুজিবকে আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী করা হয়েছিল এবং এর জন্যই সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে রমনার রেসকোর্স ময়দানে জনসভা করে তাঁকে সংবর্ধনা দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু’ খেতাব দেয়া হয়েছিল। শেখ মুজিবের জীবনে সবচেয়ে গৌরবময় সময় ছিল ছয়দফা আন্দোলনের সময়। বাংলাদেশের জনগণের জীবনেও ছিল যুগান্তকারী জাগরণের সময়’। ##

পছন্দের আরো পোস্ট