সিভাসুতে ফিডব্যাক ওয়ার্কশপ ও জব ফেয়ার

_DSCnews resize6768বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহ: ইফতিখার বলেছেন, খাদ্য শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হলে দেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, খাদ্য শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে সেফ্ ফুড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তা মনিটর করবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। দেশের সকল সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় এ মনিটরিং কার্যক্রম চলবে। এজন্য তিনি ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

Post MIddle

আজ শনিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদের তৃতীয় ব্যাচের ছাত্রছাত্রীদের ছয়মাসের “ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্লেসমেন্ট” বা ইন্টার্ণশীপ-এর উপর আয়োজিত ফিডব্যাক ওয়ার্কশপ এবং জব ফেয়ার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান উপরোক্ত কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে চিফ প্যাট্রন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। উপাচার্য বলেন, খাদ্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেলবন্ধন থাকতে হবে। খাদ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের উদ্যোগ নিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের মওসুমি ফল-কাঁঠাল, কলা, আনারস ইত্যাদি সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ ও রূপান্তরিত খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করার আহ্বান জানান।

ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. খন্দকার নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেরিডিয়ান ফুড্স লি: এর চেয়ারম্যান কোহিনূর কামাল, ওয়েল ফুড লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ হাসান, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. নওশাদ আহমেদ খান, ফুলকলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. সবুর, খুলশী মার্ট এর কর্মকর্তা শীতল বড়–য়া, নাজমুল সারওয়ার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দীন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ প্রধান অতিথিকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানান।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদের প্রথম ব্যাচের ৫৮ জন ছাত্রছাত্রীকে সাময়িক সনদ প্রদান করেন। একই সাথে যেসব খাদ্যশিল্প প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা ইন্টার্ণ কর্মসূচি সম্পন্ন করেছেন তাদের প্রতিনিধিদের হাতে সম্মাননাপত্র তুলে দেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে ডিগ্রীপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ছাড়াও শিক্ষক, গবেষক, বিভিন্ন খাদ্য-শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও প্রধান নির্বাহীগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করেন, ত্বাত্তিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি ছয়মাস ব্যাপী “ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্লেসমেন্ট” কর্মসূচীতে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ লাভ ও জ্ঞানার্জনের ফলে উক্ত গ্র্যাজুয়েটগণ খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত যেকোন কারিগরি সমস্যা সমাধানে সক্ষম হবে। কর্মজীবনে মাঠপর্যায়ের সমস্যা নিরসনের মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি করবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ বিশ্ববিদ্যালয়েই সর্বপ্রথম খাদ্য বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন খাদ্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীগণের উপস্থিতিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত পৃথক তিনটি কর্মশালার সুপারিশ ও মতামতের ভিত্তিতে ছয়মাসের ট্রনিং “ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্লেসমেন্ট” কর্মসূচী চূড়ান্ত করা হয়েছিল। ছাত্রছাত্রীরা ত্বাত্তিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি ছয়মাসের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদেরকে মাঠপার্যায়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য যোগ্য করে তোলার সুযোগ পাচ্ছেন।

পছন্দের আরো পোস্ট