রাবিতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

RU Pic 03.09.2016“আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বার্থেই জঙ্গি সন্ত্রাসী খুঁজে বের করতে হবে, মুখোমুখি করতে হবে বিচারের। সেই লক্ষ্যে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে, আর তার প্রথম সারিতেই জায়গা করে নিতে হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে। জাতিকে রক্ষার অন্যতম অতন্দ্র প্রহরী হতে হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে আজ সকল সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের দৃঢ় প্রত্যয় সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রত্যয় ছড়িয়ে যাক সারাদেশে, সবার মধ্যে। বিশ্বব্যাপী তা হয়ে উঠুক জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের রোল মডেল। ” সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ একথাগুলো বলেন।

Post MIddle

তাঁরা আরো বলেন, “দেশের সচেতন সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে এর শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান তার শীর্ষে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি জাতির আন্দোলন-সংগ্রামে মহতী ভূমিকা পালন করে এসেছে। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ অবস্থান আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ পেশায় মেধা মনন ও সৃজনশীলতার মাধমে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে। কিন্তু আজ ধর্মের অপব্যাখ্যায় বিভ্রান্ত কতিপয় বিপথগামী শিক্ষার্থীর জন্য গোটা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ আজ বিব্রত ও চরম নিরাপত্তারহীনতায় ভুগছে। যে শিক্ষার্থীরা একদিন মাতৃভূমির মর্যাদা রক্ষায় জীবন দান করেছে, জাতির নায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে, আজ তাদেরই কিছুসংখ্যকের জঙ্গি কর্মকা-ে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। তাদের হীন কর্মকা-ে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরম সংকটের মুখোমুখি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আমাদের সবাইকে হতে হবে সচেতন, মৌলবাদী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার।

কোন মানুষ কোন মানুষকে অন্যায়ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন বা হত্যা করলে সে জান্নাতে স্থান পাবে না। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস এমন একটি সংকট যা সমাজকে কলুষিত করে, মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধের কাঠামোকে ধ্বংস করে বিশ্ব শান্তিকে বিনষ্ট করে। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ধরণ ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হয়েছে। একে প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা ও দেশপ্রেম।”

আজ শনিবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর সায়েন উদ্দিন আহমেদ বক্তৃতা করেন। সেখানে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহা. বারকুল্লাহ বিন-দূর ইসলামের দৃষ্টিতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান কর্মসূচিটি সমন্বয় করেন।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেয়।

পছন্দের আরো পোস্ট