মুচলেকায় ছাড় পেল রাবির সেই শিক্ষার্থী

RU Logoছাত্রীকে উত্যক্ত করার ঘটনায় এবার মুচলেকায় ছাড় পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দর্শন বিভাগের সেই শিক্ষার্থী । প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের দায়ে শনিবার বেলা ১১টায় তার বিরুদ্ধে বিভাগে বৈঠক শেষে মুচলেকায় ছাড় দেয়া হয় তাকে।এর আগে গত ৮ ফেব্রয়ারি সে ও তার স্থানীয় সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় রাবির কর্মরত এক সাংবাদিককেও মারধর করেছিলেন তারা।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে এক ছাত্রীকে হল থেকে ডেকে নিয়ে আসে একই বিভাগের ৭-৮ জন শিক্ষার্থী। হয়রানির শিকার ছাত্রী প্রথমে আসতে অপারগতা জানালে তাকে হুমকি দিয়ে ডেকে আনা হয়। ওই শিক্ষার্থী মমতাজ উদ্দিন কলা ভবনের সামনে এলে অভিযুক্ত এক ছাত্রকে ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে বলে। এরপর সে ও তার সাথে থাকা শিক্ষার্থীরা ওই ছাত্রীকে অনেক আপত্তিকর প্রশ্ন করে। এসময় ওই ছাত্রী আতঙ্কিত হয়ে কাঁদা শুরু করে।

পরের দিন মঙ্গলবার ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিভাগে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিভাগে এক জরুরি সভা ডাকেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আক্তার আলী। ওই সভায় অভিযুক্তদের অভিভাবকদের ডেকে এনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে সেদিনের মতো সভা স্থগিত করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে অভিযুক্তদের অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়।

Post MIddle

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, বিভাগের শিক্ষকরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আমি তা মেনে নিয়েছি। তবে এধরনের ঘটনা পরবর্তীতে আর ঘটবে না বলে শিক্ষকরা আমাকে আশস্ত করেছেন।

এবিষয়ে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিভাগের এক সালিসী বৈঠকে অভিযুক্তদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে অভিযোগকারী ছাত্রী ও অভিযুক্তদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জুলফিকার আহম্মদ বলেন, যৌন হয়রানি একটি ফৌজদারি অপরাধ। এই অভিযোগে অভিযুক্তদের কাছ থেকে এভাবে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া ঠিক না।

পছন্দের আরো পোস্ট