“মা”
এই মা, তুই কাঁদছিস কেন ?
তোর অশ্রু আমার রক্ত ক্ষরণ সম।
চেয়ে দেখ মা, আজ আমি অনেক বড়
ভয়ে চারপাশ কেমন জড়সড়।
এইতো তুই, আমাকে হাঁটতে দেখালি
বাঁচতে শেখালি আপন হাতে,
গল্পে গড়লি সভ্যতাকে
গড়ে দিলি এই মাংস টাকে।
নিজের উদর ভরে অন্ন ঢাললিনা
আয়নাকে আর সঙ্গ দিলিনা
স্বর্ণলতাও আর অঙ্গে মাখলিনা
ছায়া মাড়াতে আমায় নিলিনা।
তোর কারনেই ইতিহাস এতো গাঢ়
কাল পড়ে বাঁধা,
রাজ প্রাসাদ চূর্ণ-বিচূর্ণ
গড়ে ওঠে জনসভা।
আমি কোন প্রেয়সীর স্পর্শ চাইনা
চাইনা মুখোশ পড়া ভদ্রতা,
চাইনা অট্টালিকার ওম ভরা পালক
চাইনা উষ্ণতায় আদ্রতা।
তোর মাড় দেয়া আঁচল খানা দে
হাত মাখা ভাত, মুখে পুড়ে দে,
ক্লান্তিতে তোর হাত খানা
মোর মুখে লেপে দে।
স্বর্গ দেখিস নিতো মা
স্বর্গের এক খণ্ড তোকেই এনে দেবো।
দেখিস মা,
পৃথিবীটাকে তোর পদতলে এনে দাঁড় করাবো।